প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
২০ ঘণ্টায় ১৩ জনের মৃত্যু। এক ঘণ্টার মধ্যে মারা গেলেন তিনজন। এ যেনো মৃত্যুর সিরিয়াল। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড তথা করোনা ওয়ার্ডে একদিনে ১৩ জন মারা গেছেন। এ সব মৃত্যু ১ আগস্ট রোববার রাত ৮টা থেকে গতকাল ২ আগস্ট সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের মধ্যে ঘটে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ একজন, আর বাকি ১২ জন সাসপেক্টেড তথা করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এরা হাসপাতালে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একের পর এক মারা যান। হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, এ সব রোগী হাসপাতালে এসেছেই খুব খারাপ অবস্থায়। এদের অক্সিজেন লেভেল কারো ছিল ৪৫, কারো ৫৫, ৬০ পর্যন্ত ছিল। তাছাড়া হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকায় এ সব রোগীর কারো কারোকে সাথে সাথে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া যায় নি। আবার কারো অবস্থা খুব খারাপ থাকায় তাদের অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়েও অবস্থার উন্নতি ঘটানো যায় নি। যার কারণে তারা মারা যান।
যে ১৩ জন মারা গেছেন তারা হচ্ছেন : নূর ইসলাম (৭০), শোরশাক, শাহরাস্তি, মৃত্যু রোববার রাত ৭টা ৫০ মিনিট ; রেহেনা (৩৫), উত্তর লুধুয়া, মতলব উত্তর, মৃত্যু রোববার রাত ১১টা; সালেহা (৫২), আড়ং বাজার, মতলব দক্ষিণ, মৃত্যু রোববার রাত ১০টা ৫০ মিনিট ; ফুলবানু (৫০), দীঘলদী, মতলব দক্ষিণ, মৃত্যু রোববার রাত সাড়ে ১০টা; জাহানারা বেগম (৬৫), মহামায়া, চাঁদপুর সদর, মৃত্যু রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিট; মোঃ হোসেন (৬০), তারাবুনিয়া, বালারহাট, সখিপুর, শরীয়তপুর, মৃত্যু রোববার রাত সাড়ে ১০টা; জামাল শেখ (৯৫), ধানুয়া, ফরিদগঞ্জ, মৃত্যু সোমবার ভোর ৫টা; মমিন সরদার (৬৫), বাজনাখাল, সুবিদপুর, ফরিদগঞ্জ, মৃত্যু সোমবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিট; নাছির উদ্দিন (৭৫), রাজরাজেশ্বর, চাঁদপুর সদর, মৃত্যু সোমবার সকাল ৮টা; মিজান (৪৫), কালিরবাজার, হর্ণি দুর্গাপুর, ফরিদগঞ্জ, মৃত্যু সোমবার সকাল পৌনে ৮টা; আনোয়ারা বেগম (৫০), আলগী, হাইমচর; মমতাজ বেগম (৬০), ভিঙ্গুলিয়া, হরিপুর, হাইমচর, মৃত্যু সোমবার দুপুর ২টা এবং আঃ লতিফ (৬৫), বহরিয়া, রঘুনাথপুর, চাঁদপুর সদর, মৃত্যু সোমবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট।
এদের মধ্যে শাহরাস্তি শোরশাক গ্রামের নূর ইসলামের শুধু পজিটিভ ছিল। বাকি ১২ জন সাসপেক্টেড।