প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ১০ হাজার যাত্রী নিয়ে ঢাকা গেছে ১২টি লঞ্চ
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালুর ঘোষণায় চাঁদপুর থেকে গতকাল রোববার সাড়ে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে ঢাকা অভিমুখে ১২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যাত্রী হবে প্রায় ১০ হাজার। এই সময়ের মধ্যে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ছিলো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
|আরো খবর
ভোর ছয়টা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় সকাল দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে ঘাটে ব্যাপক যাত্রীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এই ভিড় সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাগণও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ভিড়ের চাপে বেশ ক’জন যাত্রী আহত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। তবে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ লঞ্চ চলাচলের সময়সীমা বাড়িয়েছে এমন খবর শোনার পর বেলা একটার পর ফাঁকা হয়ে যায় চাঁদপুর লঞ্চঘাট।
আজ সোমবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করবে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নদীবন্দর কর্মকর্তা এএম কায়সারুল ইসলাম। তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, ঈদের ছুটিতে থাকা শিল্প-কলকারখানার শ্রমিক-কর্মচারীসহ অন্য যাত্রীদের অধিকাংশ নিরাপদে চাঁদপুর থেকে ঢাকা রওনা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী লঞ্চে যাত্রী উঠানো সামাল দিতে গিয়ে ঘাটে যাত্রীর চাপ অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ সময় লঞ্চও তেমন ছিলো না। পরে ঢাকা থেকে এমভি ইমাম হাসান ও সোনার তরী-২ এ দুটি লঞ্চ ঘাটে ভিড়লে যাত্রী নামার সুযোগ না দিয়েই লঞ্চে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এ সময়টা যাত্রীদের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে অবশ্য লঞ্চ দুটি ঘাটে অবস্থান করা যাত্রীদের নিয়ে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
এ দিকে ঘাট সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে সকাল ছয়টার রফ রফ-৭ লঞ্চ নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট আগে ছেড়ে যেতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহার পর গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিধিনিষেধ থাকবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। তবে ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বিধিনিষেধের মধ্যেই ১ আগস্ট থেকে শিল্পকারখানা চালুর অনুমতি দেয় সরকার। গত শুক্রবার এ খবর প্রকাশের পর চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকার পথ ধরেছেন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের ঢাকায় আসার সুবিধার্থে বাস ও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে সীমিত সময়ের জন্যে। এ অবস্থায় রোববার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলার কথা ঘোষণা করা হয়। এরপর নদীপথে ঢাকাগামী যাত্রীদের অনেক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ ২ আগস্ট সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের সময় বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।