প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে। জেলায় করোনা চিকিৎসার নির্ভরতার জায়গা আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল। ঈদের পর থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসংখ্য রোগী ভর্তি হয়েছে এখানে। মারাও গেছেন অনেক রোগী। পরিস্থিতি সামলাতে শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। তার পরও হাসপাতালে সিট খালি নেই। রোগীরা মেঝেতেই অবস্থান নিয়েছেন। কেউ সুস্থ হলে কিংবা কারও মৃত্যুর পর শয্যা খালি হওয়ার অপেক্ষা করছেন রোগী ও স্বজনরা।
জরুরি বিভাগে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, শুক্রবার দুপুর দুইটার পর বিকেল চারটা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা ১৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর আগে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের সময় অনেক রোগী ভর্তি হয়েছে।
এদিকে বিপুল পরিমাণ রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে শ্বাসকষ্ট ও করোনার উপসর্গ নিয়ে রোগী আসা থামছে না। অতিরিক্ত রোগীর চাপ নিয়ে সঙ্কটে পড়ছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার অক্সিজেন সরবরাহে কিছুটা সঙ্কট থাকলেও ৩০ জুলাই শুক্রবার অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক ছিলো বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও করোনাবিষয়ক ফোকালপার্সন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল। তিনি জানান, রোগীর চাপ একই রকম আছে, রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে আজকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। আমরা অক্সিজেন দিচ্ছি।
তিনি আরও জানান, এখন যেসব রোগী আসছে তারা প্রথমে জ্বর-সর্দি হলে কেউ টেস্ট করাননি। পরে যখন শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয় তখন হাসপাতালে আসেন। আগে থেকে করোনার চিকিৎসা শুরু করলে রোগীর সংখ্যা এতো হতো না। এছাড়া অসচেতনতার কারণে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সরজমিনে করোনা ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণের সময় রোগীর স্বজনরা কেউ অক্সিজেন না পাওয়ার অভিযোগ করেনি, চিকিৎসাও চলছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম জানান, দৈনিক রোগীর চাপ বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাধ্যমতো সেবা দিতে চেষ্টা করছে, কিন্তু রোগী বেড়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এখন দেড়শ’ ভর্তি রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছি। আরও রোগীর চাপ বাড়লে আমরা কী করবো?