প্রকাশ : ০১ জুন ২০২২, ০০:০০
অনুমতি ছাড়াই সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও চলছে অনেক প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এজন্যে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা৷
গত ক’দিনে চাঁদপুরে ৩৫টি অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দিয়েছে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বন্ধ করে দেওয়া ক্লিনিক ও হাসপাতালের সংখ্যা চাঁদপুরে যে পরিমাণ অনুমোদনহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে তার তুলনায় সামান্য বলে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে৷
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, অনুমোদনহীন ক্লিনিক/হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি জানান, চাঁদপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদনহীন এমন ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরে ৭টি, হাইমচরে ৩টি, ফরিদগঞ্জে ২টি, কচুয়ায় ৪টি, শাহরাস্তিতে ৩টি, মতলব উত্তরে ৩টি, দক্ষিণে ৭টি এবং হাজীগঞ্জে ৫টি।
সিভিল সার্জন আরো জানান, জেলায় সব মিলিয়ে ২৬৩টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টি নিবন্ধিত। লাইসেন্সবিহীন ৬৯ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যাদের কোনো অনুমোদন নেই। পরে এসবের বিরুদ্ধ অভিযান চালিয়ে শুরুতেই ৩৫টি সিলগালা এবং অন্যগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, জেলা শহরসহ ৮ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় এখন পর্যন্ত ৩৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেয়া হয়।
এই অভিযানে সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং তাদের মনোনীত মেডিকেল অফিসাররা অংশ নেন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ এবং অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে জরিমানা এবং সিলগালা করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
যেসব ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্স নেই, তিনদিনের মধ্যে সেগুলো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ঢাকার বাইরে জেলা সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে বিষয়টি তদারকি করা হচ্ছে।