প্রকাশ : ২৮ মে ২০২২, ০০:০০
অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক অনিবন্ধিত হাসপাতাল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসার পর পর হাজীগঞ্জে বেসরকারি (প্রাইভেট) পাঁচটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম। বৃহস্পতিবার তিনি হাজীগঞ্জ বাজারস্থ হাজীগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডায়াবেটিস সেন্টার, মুন হস্পিটাল, সেন্ট্রাল হস্পিটাল ভিআইপি হস্পিটাল ও আরিয়ানা হস্পিটাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিদর্শন করা হবে। এর আগে গত বুধবার (২৫ মে) অধিদপ্তরের অনুষ্ঠিত এক সভায় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় এবং সিদ্ধান্ত দেশের সকল সিভিল সার্জনকে জানিয়ে দেয়া হয়। এরপর হাজীগঞ্জে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন উপজেলার এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, মুন হাসপাতাল এবং হাজীগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডায়াবেটিস সেন্টারের লাইসেন্স নেই। সেন্ট্রাল হস্পিটাল ও আরিয়ানা হস্পিটালের কাগজপত্রের ত্রুটি রয়েছে। ভিআইপি হাসপাতালের নার্সদের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধসহ অপারেশন থিয়েটারের বিভিন্ন ত্রুটি পাওয়া গেছে।
এছাড়া সব হাসপাতালের সাথে থাকা ফার্মেসী পরিচালনায় লাইসেন্স নেই। উপজেলায় ১৭টি হাসপাতাল ও ১৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ মোট ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাজমুল করিম, ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক, উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মোঃ শামসুল ইসলাম রমিজসহ কর্মকর্তাগণ।