প্রকাশ : ২৭ মে ২০২২, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কাঁচা-পাকা দোকানঘর ও অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ অভিযান ২৬ মে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত করা হয়েছে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড, মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে এ উচ্ছেদ অভিযান সম্পন্ন করেছে। আজ শুক্রবার আবার অভিযান শুরু হবে।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুছ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরীফুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেদায়েত উল্যাহ্।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার গাজীপুর পাম্প হাউজ এলাকা থেকে শুরু করে চর মাছুয়া, জনতা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা জবর-দখল নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পাকা স্থাপনা।
সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব ব্যক্তি অবৈধ স্থাপনা ভাড়া দিয়ে বা নিজেই ব্যবহার করে প্রতি মাসে আয় করছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এছাড়াও খাল ও নদী দখল করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে একদিকে যেমন খালের পানি প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে অপরদিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বিনষ্ট হচ্ছে ।
বিষয়টি ভেবে গত ক’মাস ধরেই চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে মাইক ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম এবং লিখিত নোটিসের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণের লক্ষ্যে বার বার অবৈধ দখলদারদের অবগত করা হয়। অবৈধ দখলদাররা বিষয়টিতে কর্ণপাত না করায় গতকাল বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় ।
উচ্ছেদ অভিযানে সহযোগিতা করেন পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াহেদুর রহমান ভূঁইয়া, শাখা কর্মকর্তা ছালাউদ্দিন, জামাল হোসেন, আতিকুর রহমান, মোঃ আলমাছ আলী, তন্ময় পাল, আবুল হাসনাত, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম, রাজস্ব সার্ভেয়ার তানজিলুর রহমানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন হাওলাদার বলেন, সারা বাংলাদেশের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের ন্যায় মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ ও সেচ প্রকল্পে দিনব্যাপী এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় । ভবিষ্যতেও এ অভিযান চলমান থাকবে।