রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

 ‘বাংলা সাহিত্যে দ্রোহের পথিকৃৎ মধুসূদন : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার
অনলাইন ডেস্ক

মেঘনা পাড়ের বাতিঘর বলে খ্যাত চাঁদপুর সরকারি কলেজে ২২ মে রোববার বেলা ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলা’ সাহিত্যে দ্রোহের পথিকৃৎ মধুসূদন : একটি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আজিম উদ্দিনের সভাপ্রধানে এবং প্রভাষক ফাতেমা আক্তারের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শরীফ মাহমুদ চিশতী।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার ও শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল হাছান। মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুজ্জামান। সেমিনারে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা, প্রভাষক আবু সাইদ, সহযোগী অধ্যাপক অমর চন্দ্র দাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কিউ এম হাসান শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার মাইকেল মধুসূদনের সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মাইকেল মধুসূদনের বিস্ময়কর প্রতিভাই তাঁকে অনন্য সাধারণ কবি রূপে বিকশিত ও প্রস্ফুটিত করেছে সরোবরে অজস্র ফুটন্ত পদ্মের মত। অবিস্মরণীয় দক্ষতা, ক্ষমতা ও প্রতিভা বলে বাংলা সাহিত্যকে তিনি সমৃদ্ধ করেছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ। বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের অচলায়তনকে ভেঙ্গে তিনিই প্রথম আধুনিকতার আলোকরশ্মি দিয়ে বাংলা সাহিত্যের গতিপথকে বদলে দিয়েছেন। মহাকাব্য, গীতিকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, নাটক ও প্রহসন-সাহিত্যের এই রূপগুলোর সৃষ্টি করে তিনি নতুন যুগের শুভ সূচনা করেন। পাশাপাশি চরিত্র, ভাষা, ছন্দ, অলংকার এমনকি জীবনবোধ উপস্থাপনায় হাজার বছরের বাঙালি সমাজ ও বাংলা সাহিত্যের চিরাচরিত রীতিকে ভেঙে মধুসূদন বিদ্রোহের ভূমিকা পালন করেন। সেমিনার পেপারে এ বিষয়গুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি সুন্দর একটি সেমিনার আয়োজনের জন্য বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ সকল শিক্ষক-কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়