শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিং

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চাঁদপুরের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৭৫২ পরিবার পুনর্বাসিত হবে

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চাঁদপুরের  ভূমিহীন ও গৃহহীন ৭৫২ পরিবার পুনর্বাসিত হবে
মিজানুর রহমান ॥

স্বাভাবিক নিয়মে ঈদ উপলক্ষে চাল, ডাল, সেমাই, চিনি কিংবা শাড়ি লুঙ্গি উপহার দেয়া হয়। কিন্তু চাঁদপুরে এবার ঈদের উপহার হিসেবে দেয়া হচ্ছে জমিসহ ঘর। এবারের ঈদুল ফিতরে একেবারে নিঃস্ব ও ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দেয়া হবে এসব ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে চাঁদপুরের ৭৫২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর কার্যালয়ে ২৪ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এবং প্রেস ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান।

আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই উপহার তুলে দেয়া হবে। ওইদিন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মাঝে এই উপহার তুলে দিবেন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অন্ষ্ঠুানে যুক্ত হবেন সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে।

প্রেস ব্রিফিংয়ের শুরুতে চাঁদপুরে ভূমিহীনও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প এবং ঘর তেরি ও বিতরণ কার্যক্রমের উপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মদ রাশেদা আক্তার।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, দেশ টিভি ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, চাঁদপুর খবর সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার কাদের পলাশ, দৈনিক আমাদের সময় চাঁদপুর প্রতিনিধি এমএ লতিফ সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটাঃ কাজী শাহাদাত, অধ্যাপক জালাল চৌধুরীসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর বক্তব্যে বলছেন, এবারে ৩য় পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে। যাতে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মুখে হাসি ফুটে। তাদের মাথার উপর ছাদ হয় এবং তারা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের তৃতীয় পর্যায় শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে আজকে এ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

আগামী ২৬ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। ১ম পর্যায়ে প্রায় ৬৬,১৮৯ জনকে এবং ২য় পর্যায়ে প্রায় ৫৩ হাজার ৩শ’ ৪০ জনকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় ‘ক’ শ্রেণীর গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ১৬০৬টি। চাঁদপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে গৃহের মাধ্যমে ১৩৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে এ জেলায় একক গৃহের মাধ্যমে ১০৯টি পরিবারকেসহ ২টি পর্যায়ে সর্বমোট ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

৩য় পর্যায়ে একক গৃহের মাধ্যমে ১২৩টি ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬২৯টিসহ মোট ৭৫২টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে ৬৮০টি পরিবারকে এবং অবশিষ্ট ৭২টি পরিবারের মাঝে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করে গৃহ হস্তান্তর করা হবে। এ সকল পরিবারকে এক টাকা সেলামিতে ২ শতক জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে কবুলীয়ত, রেজিস্ট্রেশন, নামজারি ও জমাখারিজ খতিয়ান সৃজন, সনদপত্র প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং চলমান আছে। সরকার কর্তৃক ডিসিআর-এর ১১৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এতে নামজারির জন্যও তাদের কোনো টাকা ব্যয় করতে হয় না। প্রতিটি একক গৃহের আয়তন ৩৯৫ বর্গফুট। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহে একটি টয়লেট, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর জেলায় খাস জমি উদ্ধার করে এই পুনর্বাসন করা হচ্ছে। নিষ্কণ্টক খাসজমি না পাওয়া গেলে অবশিষ্ট ‘ক’ শ্রেণীর পরিবারকে জমি ক্রয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসনের জন্য সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুনর্বাসনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দকে জায়গা নির্বাচন, মাটি ভরাটসহ প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের বেতনের টাকায় চাঁদপুর জেলায় দুটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রতিষ্ঠান প্রধান, সংস্থা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর জেলায় ১১৮টি ঘর নির্মাণ করে দিবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়