প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৬
আতঙ্কিত জনগণ, ধ্বংস হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক
চাঁদপুর সদর উপজেলায় ট্রাক্টরের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনগণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে পূর্বের ন্যায় ট্রাক্টর চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে থাকে। যার ফলে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা খুব বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি
|আরো খবর
গ্রামীণ সড়ক ধ্বংস হচ্ছে। অযোগ্য ও অদক্ষ চালক দিয়ে চালানো হচ্ছে ট্রাক্টর। কোনো রকম স্টিয়ারিং ধরতে পারলে অনেকে চালকে পরিণত হয়ে যায়। এসব ট্রাক্টরের সড়কে চলাচলের অনুমোদন সংক্রান্ত নেই কোনো কাগজপত্র। চালকদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এক শ্রেণির বালু, ইট ও মাটি ব্যবসায়ী এসব ট্রাক্টর ব্যবহার করছে। বাঘড়া বাজার, নানুপুর, পশ্চিম সকদী, সাহেব বাজার, শাহতলী, মোল্লা বাজারসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের দৌরাত্ম্য চোখে পড়ে বেশি। এসব এলাকায় বেপরোয়া গতিতে ট্রাক্টর চলাচল করার কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারীরা থাকে আতঙ্কে। এই ট্রাক্টরের চাপায় পিষ্ট হয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। ট্রাক্টর চাপায় হতাহত বৃদ্ধির এক পর্যায়ে পুরো চাঁদপুর জেলায় ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরও কীভাবে এই যন্ত্রদানব ট্রাক্টর রাস্তায় বীরদর্পে চলছে তা জনগণের বোধগম্য নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, ট্রাক্টর ইট, বালু, মাটি বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ট্রাক্টর ব্যবহারকারীরা প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় আমরা ভয়ে কথা বলতে সাহস পাই না। ট্রাক্টরের চাপায় বহু মানুষ মারা গেছেন। এদের বিচার আজো হয়নি। একটি চক্র অর্থের বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থাকে।
চাঁদপুরের সাবেক পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার সড়কে ট্রাক্টর চলাচল নিষিদ্ধ করলে এরপর অনেকদিন যাবত বন্ধ ছিলো। কিন্তু এখন আবার সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (এডমিন) মো. মাহফুজ মিয়া বলেন, পূর্বের ন্যায় আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। চাঁদপুর শহর এলাকায় ট্রাক্টর আসে না। বিভিন্ন উপজেলা সদরে ও চাঁদপুর সদর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে হয়তো চলাচল করে থাকে। সেখানে চলাচলরত ট্রাক্টরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান পুলিশ সুপার স্যারও ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে কঠোর রয়েছেন।