শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

বোরো মৌসুমে আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা

সেচ খালে পানিস্বল্পতায় হাহাকার ফরিদগঞ্জের কৃষকদের

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
সেচ খালে পানিস্বল্পতায় হাহাকার ফরিদগঞ্জের কৃষকদের

সেচ খালে পানিপ্রবাহ কম থাকায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ফরিদগঞ্জের ক’টি অঞ্চলে পানির জন্যে হাহাকার পড়ে গেছে। খালে পানিপ্রবাহ বাড়াতে কৃষকরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দ্রুত পানি সরবরাহ না বাড়লে বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটনার শঙ্কা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, তারা পাউবোর সাথে কথা বলেছেন, ৩/৪ দিনের মধ্যে খালে পানিপ্রবাহ বাড়বে বলে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনও।

জানা গেছে, চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা, বদরপুর ও গাব্দেরগাঁওসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের সেচ খালে পানিস্বল্পতার কারণে সেচ কাজে কৃষকদের নিদারুণ কষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা বোরো আবাদের জন্যে চারা রোপণ করলেও তাতে পানি দিতে পারছেন না। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বারপাইকা ২ কিউসেক এলপিসি স্কীম খালে পানি সরবরাহের জন্যে বারপাইকা ২ কিউসেক এলপিসি স্কীম ম্যানজার প্রফেসর ডাঃ মোঃ তসলিম উদ্দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত আবেদন করেন। তিনি আবেদনে জানান, কৃষির এই ভরা মৌসুমে সেচ প্রকল্পের পানির অভাবে উপরিউক্ত স্কীমের চাষাবাদ দারুণভাবে ব্যহত হচ্ছে। বিপি-১১ খালে পানি নেই। পাম্পে পানি আসছে না। যদিও ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খালে পানি আসেনি।

সরজমিনে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা, বদরপুর ও গাব্দেরগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা চলতি বোরো মৌসুমে মাঠে কিছু অংশে চারা রোপণ করেছেন, আবার কিছু অংশে চারা রোপণ করতে পারেননি। চারা রোপণ করলেও পানির অভাবে মাঠ ফেটে যাচ্ছে। পানির অভাবে কিছু কিছু মাঠে চারা রোপণই করতে পারেননি কৃষকরা। অন্যদিকে বিপি-১১ খালে পানি আছে নামমাত্র। এই পানি বিএডিসির সেচ পাম্প দিয়ে উঠবে না। দ্রুত সেচখালে পানি সরবরাহ না বাড়লে বোরো আবাদে ব্যাঘাত ঘটবে।

ইমরান, মিজান, আনোয়ারসহ বেশ ক’জন কৃষক জানান, সেচ পাম্প দিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠিকমতো পানি আসছে না। এতে আমরা বিপদে পড়েছি। বিগত বছরে ধানের আবাদ করে লোকসান দিলেও আবারো ঝুঁকি নিয়ে চারা রোপণ করেছি। কিন্তু সেচ পানি না পেলে আমাদের মাথায় বাজ পড়বে। আমাদের হাহাকার শুনবে কে?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তিনিসহ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএস তছলিম আহমেদ, ইউএনও মৌলি মণ্ডল সরজমিনে গিয়ে দেখে এসেছেন। কৃষকদের দাবি সঠিক। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছেন। স্লুইচ গেইটের একটি পাম্প বিস্ফোরণ হওয়ায় পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে। তারা পানি ছাড়া শুরু করেছে। ৩/৪ দিনের মধ্যে সেচখালে পানি প্রবাহ বাড়বে বলে তারা আশ্বস্ত করেছেন।

উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএস তছলিম আহমেদ জানান, বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপনের পর তিনি সরজমিনে গিয়ে দেখেছেন। সেচখালে পানি সরবরাহ বৃদ্ধির জন্যে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়