রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

সিলেটের বন্যা চাঁদপুরের জন্যে অশনি সংকেত, যে কোনো সময় প্লাবিত হবে নিম্নাঞ্চল

সুরমা-কুশিয়ারার পানি মেঘনা হয়ে বুড়িগঙ্গায় যাওয়ার সময় প্লাবিত করবে চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল * পদ্মা-যমুনার পানি বাড়লে ঝুঁকিতে পড়বে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ * শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন এড়াতে প্রয়োজন ১ লাখ জিও ব্যাগ, মজুদ আছে মাত্র ১০ হাজার * ১২২/১৫৫ মিলিমিটার টানা বৃষ্টি হলেই বেড়িবাঁধের ভেতরের বহু এলাকা পানিবন্দি হতে পারে

সিলেটের বন্যা চাঁদপুরের জন্যে অশনি সংকেত, যে কোনো সময় প্লাবিত হবে নিম্নাঞ্চল
রাসেল হাসান ॥

দেশের অনেক ভাটি অঞ্চল যখন পুড়ছে তীব্র দাবদাহে, তখন সিলেট ভাসছে পানিতে। সেখানে বিরাজ করছে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি। এর আগে গত এপ্রিলে বন্যায় তলিয়ে যায় সিলেটসহ আশপাশের হাওর এলাকার ফসল। এর মাসখানেক না যেতেই সিলেটে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যা। এবার বন্যা এসেছে আরও ভয়ঙ্কর রূপে। তলিয়ে গেছে প্রায় পুরো সিলেট। সুনামগঞ্জেরও বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ.কে.এম আবুল মোমেন এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী সাম্প্রতিক সময় সিলেটে বন্যায় প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শনের সময় বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, সুরমা-কুশিয়ারা দু নদীতে পলি পড়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় কমেছে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা। ফলে অতিরিক্ত পানি ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। নগরীর খাল, পুকুর, দিঘি ভরাট করে দালান নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন বা গ্রহণ করার জলাশয়ের অভাব থাকায় বন্যায় কাতরাচ্ছে সিলেটবাসী।

সিলেটের উজানে ভারতের মেঘালয়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে অতিরিক্ত পানি বরাক নদী হয়ে বাংলাদেশের সুরমা-কুশিয়ারায় প্রবেশ করছে, যার ফলে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে সিলেটবাসীর বন্যা থেকে উত্তরণের পথ কী? কীভাবে, কোন্ পথে নামবে সিলেটের পানি? অতীতের পানির গতিপথ ও ভৌগোলিক সীমানা যে তথ্য দিচ্ছে তাতে সিলেটের বন্যা চাঁদপুরের জন্যে বড় ধরনের অশনি সংকেত দিচ্ছে।

২৪৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দেশের দীর্ঘতম নদী সুরমা। যার উৎপত্তি ভারতের বরাক নদী থেকে। সুরমা সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। মূলত সুরমা-কুশিয়ারার পানি মেঘনা হয়ে চাঁদপুর ঘেঁষে বুড়িগঙ্গায় গিয়ে পড়ে। তাই সুরমা-কুশিয়ারার মাত্রাতিরিক্ত পানি মেঘনায় চাপ সৃষ্টি করলে প্লাবিত হবে চাঁদপুরের বেড়ি বাঁধের বাইরের অঞ্চলগুলো। মেঘনায় যতই পানি বাড়বে, ততই চাপ সৃষ্টি করবে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ওপর।

চাঁদপুরবাসীর জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদটি হচ্ছে, সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (২২ থেকে ২৩ মে) সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বাড়ায় বাড়ছে পদ্মার পানি। যমুনার পানিও পদ্মা হয়ে চাঁদপুর অঞ্চলে মিলিত হবে মেঘনায়। এতে সুরমা ও পদ্মার দ্বিমুখী পানির চাপ বিপাকে ফেলতে পারে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধকে। বলা যায় সুরমা-পদ্মার পানি ধেয়ে আসছে চাঁদপুরের দিকে। দেশের ভৌগোলিক পরিসীমা বলছে ভারতের নিম্নমুখী পানির স্রোতে বা অতিবৃষ্টিতে পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, সুরমা, কুশিয়ারা যে নদীতেই পানি বাড়ুক তা বঙ্গপোসাগরে পৌঁছার একমাত্র পথ মেঘনা। আর মেঘনায় পানি বাড়া মানেই চাঁদপুরের জন্য তা অশনি সংকেত।

বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (২২ মে থেকে ২৩ মে) সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন সুরমা ও সোমেশ্বরী ছয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে শুধু সোমেশ্বরীর পানি নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ১৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। সেখানে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে আছে নদীটি। সুরমা নদী কানাইঘাটে বিপৎসীমার ৮৪ সেন্টিমিটার আর সিলেটে ১২ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। কুশিয়ারা অমলশীদে ১৩১ ও শেওলায় ৪৭ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পুরাতন সুরমা ৭ সেন্টিমিটার আর সোমেশ্বরী নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে আছে। বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত পানি ক’দিনের মধ্যেই নেমে আসবে মেঘনায়।

আবার আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টায় (২৪ ও ২৫ মে) দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয়, হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা প্রদেশের কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। যার ফলে উজানের ঢলে যমুনা-পদ্মার পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েকদিন পর যার প্রভাব পড়বে মেঘনায়। আর মেঘনায় পানি বাড়া মানেই চাঁদপুরের চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বেড়িবাঁধে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করা।

অতি সন্নিকটের সম্ভাবনাময় এ দুর্যোগ মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত আছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন?-সেই প্রশ্ন এখন সর্বমহলের। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কণ্ঠকে যে তথ্য দিয়েছে তাতে রীতিমত চোখ কপালে ওঠার মত। পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি মেঘনায় প্রবাহিত হবে সত্যি, তাতে চাঁদপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলেও বেড়িবাঁধের ভেতরের মানুষ সুরক্ষিত থাকবে। তবে সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানির স্রোতের সাথে যদি যমুনা-পদ্মা নদীর পানিও বাড়তে থাকে এবং একসাথে তা মেঘনায় দ্বিমুখী চাপ সৃষ্টি করে তবে পানির তীব্র চাপে হুমকির মুখে পড়বে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ। বেড়িবাঁধ অকেজো হয়ে পড়লে সিলেটের মতো প্লাবিত হবে শহরের প্রধান শহরও। অতিবৃষ্টি নিয়ে তিনি বলেন, একনাগাড়ে ১২২/১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে বেড়িবাঁধের ভিতরের বহু এলাকা পানিবন্দী হতে পারে। কারণ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে বন্ধ থাকবে স্লুইচ গেইট। তাই টানা বৃষ্টি হলে পানিবন্দী হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।

‘শহররক্ষা বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে পড়লে তা তাৎক্ষণিক মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত আছে চাঁদপুর পাউবো’-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানির তীব্র চাপে শহর রক্ষা বাঁধ ভাঙ্গনের মুখে পড়লে অন্তত ১ লাখ জিও ব্যাগ ও ১৩ হাজার ব্লক প্রয়োজন। ব্লক পর্যাপ্ত থাকলেও বর্তমানে মজুদ আছে মাত্র ১০ হাজার জিও ব্যাগ। আমরা আরও জিও ব্যাগ সরবরাহ করতে আবেদন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আরও ৪ হাজার জিও ব্যাগ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছে। যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হাতে পাবো। নতুন ৪ হাজারসহ মোট ১৪ হাজার হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ঘাটতি থাকবে আরও ৮৬ হাজার জিও ব্যাগ।

‘সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারার মত চাঁদপুর ঘেঁষা মেঘনার তলদেশের গভীরতা যথাযথ আছে কি-না’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, চাঁদপুর অঞ্চলের মেঘনায় যথেষ্ট গভীরতা রয়েছে। তবে বড় স্টেশন মোলহেডে গভীরতা সবচেয়ে কম। তিন নদীর মিলিত স্থানে পলি পড়ে তলদেশের গভীরতা কমে গেছে। তাই পানির চাপ বাড়লে মোলহেডের কাছাকাছি যেকোনো অঞ্চলে বাঁধে ফাটল দেখা দিতে পারে। বিষয়টি আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছি।

মেঘনার অগভীর স্থানের ড্রেজিং নিয়ে পাউবোর নীরবতা নিয়েও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী কথা বলেন চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে। তিনি জানান, চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের অর্থায়নে সাধারণত এ কাজগুলো করা হয়। ১৯৭২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ফেজে এ কাজগুলো হয়েছে। প্রকল্পটিতে দুটি কম্পোনেন্ট রয়েছে। একটি হলো নদী ড্রেজিং এবং অপরটি প্রতিরক্ষা। দীর্ঘদিন প্রকল্পের ডিপিপি রিভাইস্ড হচ্ছে না বলে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পের অর্থ ছাড় হয়নি। যার ফলে বন্ধ হয়ে আছে প্রকল্পের কাজ। চাঁদপুর শহরকে সম্ভাব্য বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে প্রকল্পের কাজ পুনরায় শুরু করা অতীব জরুরি। প্রকল্প রিভাইসডের ফাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডে আটকা রয়েছে। সেখান থেকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।

প্রকল্পের রিভাইস্ড নিয়ে কথা বলা হয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদের সাথে। তিনি বলেন, প্রকল্পের ফাইল নিয়ে কাজ চলছে। প্রাথমিক নিরীক্ষা শেষ হলে শীঘ্রই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে প্ল্যানিং মিনিস্ট্রিতে গেলে ডিপিপি রিভাইস্ডের কাজ শেষ হবে।

চাঁদপুরে ঘাটতি জিও ব্যাগ সরবরাহে কোনো উদ্যোগ আছে কি-না, তা জানতে চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে কথা বলা হয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী, শরিয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের সাথে। চাঁদপুর কণ্ঠকে তিনি জানান, আমার বাড়ি সখিপুর। চাঁদপুর নদীর পাড় থেকে আমার বাড়ি দেখা যায়। চাঁদপুর ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমিও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। ক’দিনের মধ্যেই চাঁদপুরের নদীর পানি বাড়বে তা সত্যি। চাঁদপুরে জিও ব্যাগ সঙ্কট তা আমি মাত্রই চাঁদপুর কণ্ঠের মাধ্যমে জানলাম। আমি এক্ষুণি নির্দেশ দিচ্ছি, যত হাজার ব্যাগ জিও ব্যাগ প্রয়োজন তা যেন দ্রুত চাঁদপুরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এই প্রতিবেককে সামনে রেখেই চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে ফোন করে উপমন্ত্রী জানান, চাঁদপুরকে সুরক্ষিত রাখতে যত হাজার জিও ব্যাগ প্রয়োজন তা যেন অনতিবিলম্বে চাঁদপুরে মজুদ রাখা হয়। কেউ জিও ব্যাগ দিতে আপত্তি জানালে নির্বাহী প্রকৌশলী যেন সরাসরি উপমন্ত্রীকে ফোন করে জানান।

এ বিষয়ে কথা বলা হয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ড. শামসুল আলমের সাথে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে আটকে থাকা চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পের ফাইল নিয়ে তিনি বলেন, ফাইলটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আসলে দ্রুততার সাথে তা পাস করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতো দিন ধরে ফাইলটি কেন পানি উন্নয়ন বোর্ডে পড়ে থাকবে তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আমি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বলবো এ বিষয়ে তার তদারকি বাড়াতে।

চাঁদপুরের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীতে পরিকল্পিত ড্রেজিং না করায় পানির চাপ বেড়িবাঁধে এসে প্রেশার ক্রিয়েট করে। অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন রোধ ও পরিকল্পিত ড্রেজিং ব্যবস্থার প্রতি প্রশাসনকে জিরো টলারেন্সে থাকতে হবে। ব্যক্তি রক্ষার চেয়ে ভূখণ্ড রক্ষার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

সিলেটের পুনরাবৃত্তি যেন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে না হয় তার জন্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের আরও সক্রিয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে চাঁদপুরবাসী। স্বস্তির কথা হলো, নদীর পানি যে উচ্চতায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধটি তার চেয়েও আড়াই মিটার উঁচু। তাই যমুনার চাপে পদ্মার পানি না বাড়লে শুধুমাত্র সিলেটের সুরমা-কুশিয়ারার পানি মেঘনায় গড়ালে তা শহররক্ষা বাঁধ অতিক্রম করার সম্ভবনা নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়