মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১

মূল লড়াই হবে নৌকা ও টেলিফোনের মধ্যে

মূল লড়াই হবে নৌকা ও টেলিফোনের মধ্যে
গোলাম মোস্তফা ॥

আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে চাঁদপুর সদরের ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতীক নিয়ে ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চারজন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০জন প্রার্থী এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীসহ তাদের সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীরা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মোঃ মাসুদুর রহমান নান্টু পাটওয়ারী, স্বতন্ত্র থেকে টেলিফোন মার্কা নিয়ে স্বপন মাহমুদ, আনারস মার্কা নিয়ে রফিকুল ইসলাম খোকন মল্লিক ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত হাতপাখা মার্কা নিয়ে মোঃ শাহ জামাল গাজী। সেই সাথে এ ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সাধারণ সদস্য পদে ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৮জন প্রার্থী। এককথায় এ সকল প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় এখন মুখরিত পুরো ইউনিয়ন। এদের সকলের প্রচার-প্রচারণায় পুরো জমে উঠেছে নির্বাচন।

জানা যায়, এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৬৩৯ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১১হাজার ২৬ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৫১৩ জন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা তাদের জয়ের বিষয়ে সকলেই তাদের ব্যক্তি, দলীয় ও পারিবারিক ইমেজকে কাজে লাগানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিগত দিনে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়গুলোকেও তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।

তবে এই ইউনিয়নে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাসুদুর রহমান নান্টু ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী স্বপন মাহমুদের টেলিফোন প্রতীকের মধ্যে।

এই দু’জন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের মধ্যেই যে কোনো একজন বিজয়ী হবেন। এদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সরাসরি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত। অপরদিকে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে উক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও দুবারের সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাসুদুর রহমান নান্টু ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত। সে সুবাদে ইউনিয়নবাসীর কাছে তার রয়েছে পরিচিতি। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও তিনি ক্লিন ইমেজের মানুষ। নির্বাচন বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকে এই ইউনিয়নবাসী আমাকে চিনে এবং জানে। আমি সুখে-দুঃখে তাদের পাশে ছিলাম। তাছাড়া আমার রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এবং চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের নেত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি তৃণমূল পর্যায় থেকে যেভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন, সেই আলোকে জনগণ পর্যালোচনা করে আগামী ১১ নভেম্বর নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে রায় দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন বলে আশা রাখি। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বিজয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হয়ে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

টেলিফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দুইবারের চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আমি ঠিকমতো নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। সকল পর্যায়ে আমাকে বাধা ও হুমকির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আশাবাদী হয়ে বলেন, জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে আমার বিজয় নিশ্চিত। তবে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা, সেটি এখন দেখার বিষয়।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমি আমার ইউনিয়নের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছি। আমার বিশ্বাস, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমার প্রতীক আনারস প্রতীকের বিজয় হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী শাহজামাল গাজী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে প্রথম থেকেই শঙ্কায় কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণের আমাদের প্রতি যে সাড়া রয়েছে তাতে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। কিন্তু আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশের বিষয়ে সংশয়ে রয়েছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়