রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

শাবাশ পিবিআই, শাবাশ!

অনলাইন ডেস্ক
শাবাশ পিবিআই, শাবাশ!

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চাঁদপুরের একের পর এক সাফল্যে উচ্ছ্বসিত না হয়ে পারছে না কেউ। রোববার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় দৃষ্টি আকর্ষণমূলক সংবাদ শিরোনাম হয়েছে এমন--‘পিবিআইর বড় ধরনের সাফল্য : চাঁদপুর চরাঞ্চল থেকে চুরি যাওয়া ৮ মোটরসাইকেল উদ্ধার করলো’।

সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর পশ্চিমে এখলাছপুর ইউনিয়নের বোরোচর এলাকা হতে ৮টি চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), চাঁদপুর। এ নিয়ে মাত্র নয়দিনের মাথায় পৃথক দুই অভিযানে ১৩টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পিবিআই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ ডিসেম্বর মোটরসাইকেল চুরি যাওয়া চাঁদপুর সদর মডেল থানার একটি মামলার সূত্র ধরে পিবিআই তদন্ত শুরু করে। ওই ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর মতলব উত্তর উপজেলার বাপ্পি (২১), হাসান আহাম্মেদ ও মোঃ রাজিব (২১) নামে মোটরসাইকেল চোর চক্রের তিন সদস্যকে নারায়ণগঞ্জ ও মতলব উত্তরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তাদের দেয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় ৫টি মোটরসাইকেল।

এসপি মোস্তফা কামাল রাশেদ জানান, চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর আমরা বেশ কিছু তথ্য পাই। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আমিরুল ইসলাম মীর একটি বিশেষ দল গঠন করেন। ওই দলটি মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের বোরোচর দ্বীপ এলাকা হতে মামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত চোর চক্র কর্তৃক চোরাইকৃত ৮টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। এসপি আরো বলেন, তদন্তের সময়ে গ্রেফতারকৃত আসামীরা তাদের চুরিকৃত মোটরসাইকেলগুলো নদীর ঐ পাড়ে বিক্রি করে আসছিল মর্মে তথ্য প্রকাশ করে। আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হয়। এ পর্যন্ত ১৩টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে পিবিআই চাঁদপুরের এই সাফল্যে জনগণ পিবিআইর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছে। মানুষ পিবিআইর এমন তৎপরতায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

বর্তমান বাজারে দুলাখ টাকার নিচে কোনো ভালো মানের মোটরসাইকেল কেনা যায় না। সামর্থ্যবান মানুষ অনিবার্য প্রয়োজনে, কেউ কেউ ঋণ করে জীবিকা অবলম্বনে কিংবা সখের বশত মোটরসাইকেল কিনে। সেই মোটরসাইকেল যখন চুরি হয়ে যায়, তখন অসম্ভব মনে কষ্ট পায়। এ ক্ষেত্রে মানুষ দ্বারস্থ হয় থানা-পুলিশের। কিন্তু চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার/পুনরুদ্ধারে এবং চোর শনাক্তে ও ধরার ক্ষেত্রে থানা-পুলিশের সফলতা একেবারে নগণ্য। সেজন্যে ক্ষতিগ্রস্তরা হতাশা ও ক্ষোভে ভুগছিল দীর্ঘদিন। এমন বাস্তবতায় মোটরসাইকেল চোর ধরা ও চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার/পুনরুদ্ধারে পিবিআই'র একের পর এক সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেই হয়। কেউ কেউ তো অকপটে বলে উঠেন ‘শাবাশ পিবিআই, শাবাশ’। আমরা আশা করি, পিবিআই’র এমন সক্রিয় তৎপরতায় মোটরসাইকেল চুরি ক্রমশ কমে আসবে, এক পর্যায়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে এবং ব্যবহারকারীরা অশেষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভুগবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়