শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

অগ্রণী ব্যাংক অঞ্চল প্রধানের বক্তব্য
অনলাইন ডেস্ক

অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি পুরাণবাজার শাখার ব্যবস্থাপক ও প্রিন্সিপাল অফিসার সফিউল আলমের বিদায় এবং নবাগত শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নিজাম উল হায়দার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার)-এর আগমন উপলক্ষে বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে আয়োজিত বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান তপন কান্তি দাস। তিনি ব্যাংকের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টিই আমাদের কাম্য। ব্যাংকের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীই কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিক। তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ভালো অফিসার হতে হলে মেজাজকে শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমার আচরণে যেনো কোনো গ্রাহক কষ্ট না পান। গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধাসহ তাদেরকে সেবা দেয়ার জন্যেই আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনেক গ্রাহক বিশেষ করে নারী গ্রাহকগণ ব্যাংকের অনেক নিয়ম বা চেক বা ভাউচার লিখতে না পেরে ব্যাংক ম্যানেজার বা কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন তা লিখে দেয়ার জন্যে, কিন্তু তাতে অনেকেই অসন্তুষ্ট হন বা লিখে দিতে গড়িমসি করেন। আপনাদের এই অসন্তোষ প্রকাশ করা ঠিক হবে না। একটি চেক যখন কেউ লিখে দিতে বলে, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি তার কাছে বিশ্বস্ত বলেই সে আপনাকে লিখে দিতে বলেছে। তাই এক্ষেত্রে আপনারা অপরাগতা প্রকাশ না করে তা করে দিতে চেষ্টা করবেন এবং বিশ্বস্ততার মর্যাদা রক্ষা করবেন। তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্য বলেন, অগ্রণী ব্যাংক আপনাদেরই। তাই ব্যাংকের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে আপনাদের সহযোগিতা আবশ্যক। তিনি ব্যাংকের অগ্রগতিতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এখানে বলা দরকার, আমাদের দেশে কিছু ব্যাংক ম্যানেজারকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে থাকা এবং অপারেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে মূল কাজটা করানোর প্রবণতায় ভুগতে দেখা যায়। কেউ কেউ ম্যানেজার হিসেবে এতোটা বনেদী ভাব দেখান যে, নিরীহ সাধারণ গ্রাহক ও নারী গ্রাহকরা ম্যানেজারের রুমে ঢোকা দূরে থাক, কথা বলতেও সাহস করেন না। উন্নত দেশ তথা ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাংক ম্যানেজাররা তাঁর আসনে খুব একটা বসেনই না। তিনি দরজায় দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের অভ্যর্থনা জানান, পুরো ব্যাংক ঘুরে গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনেন এবং সর্বোচ্চ ও আন্তরিক ব্যাংকিং সেবা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এমনটি আমাদের দেশে কল্পনা করতেও কষ্ট হয়। হ্যাঁ, আমাদের দেশের ব্যাংক ম্যানেজাররা প্রায় সকলে সমাজের ভিআইপি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কেবল উন্নত দেশের ন্যায় ব্যাংকিং সেবা প্রদর্শন করেন। এটা ঠিক নয়। সকল ব্যাংকে সকল গ্রাহকের ক্ষেত্রে সমান দৃষ্টিতে সেবা প্রদানের মানসিকতা যতোদিন পর্যন্ত আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে না দেখা যাবে, ততোদিন শতভাগ গ্রাহক সন্তুষ্টি আদায় সম্ভব হবে না। অগ্রণী ব্যাংক চাঁদপুর অঞ্চল প্রধান প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে গ্রাহক সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মেজাজ ঠিক রেখে পুরোপুরি গ্রাহকবান্ধব হবার উপদেশ দিয়েছেন। এমনটি ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারা সাধারণত নিজেদের সভা-সম্মেলনে বলে থাকেন, বিদায়-বরণের মতো গ্রাহকদের উপস্থিতি সম্বলিত মিটিংয়ে নয়। তবুও তিনি নিজ তাগিদে বলেছেন। কারণ অগ্রণী ব্যাংক সহ ‘সরকারি’ ব্যাংক নামে গ্রাহক মহলে পরিচিত ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকবান্ধব সেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পাওয়া যায় না, যেটি ‘প্রাইভেট’ বা বেসরকারি ব্যাংক নামে পরিচিত ব্যাংকগুলোতে তারচে' ভালো পাওয়া যায়। আমরা চাই, গ্রাহকদেরকে ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল ব্যাংকের সেবা প্রদানের মান একরকম হোক। আর এই একরকম হওয়াটাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনিটরিং/পর্যবেক্ষণ/পরিদর্শনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়