শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ভুয়া চিকিৎসকের অপবাদ থেকে মুক্ত হোক হাজীগঞ্জ

ভুয়া চিকিৎসকের অপবাদ থেকে মুক্ত হোক হাজীগঞ্জ
অনলাইন ডেস্ক

‘হাজীগঞ্জে নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসকের জরিমানা ৩০ হাজার টাকা’ শিরোনামের সংবাদটি চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে অতি সম্প্রতি। সংবাদটিতে কামরুজ্জামান টুটুল লিখেছেন, নিবন্ধনহীন পশু চিকিৎসককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ রিয়াদ পোল্ট্রি ও হ্যাচারী ফিড নামক প্রতিষ্ঠানে এ ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহেদী হাসান মানিক। এ সময় রিয়াদ পোল্ট্রি ও হ্যাচারী ফিডের মালিক ও কথিত পশু চিকিৎসক আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা দায়ের এবং মামলায় তাকে নগদ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। নিবন্ধন ও সনদ ব্যতীত ভেটেরিনারি প্র্যাকটিস করার অপরাধে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন-২০১৯ অনুযায়ী তাকে এ জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আগামী এক মাসের মধ্যে আলহাজ্ব নূরুল ইসলামকে নিবন্ধন করার জন্যে সময় বেঁধে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ শাহিন মিয়া ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।

হাজীগঞ্জে ইতিপূর্বে আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলামের মতো সনদবিহীন ও নিবন্ধনহীন, এমনকি ভুয়া সনদধারী পশু চিকিৎসক নয়, মানুষের চিকিৎসকই ধরা পড়েছে বারবার, যারা বছরের পর বছর রোগীদের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক/পরিচালকদের সাথে যোগসাজশে তারা যে এমন প্রতারণার সুযোগ নিয়েছে সেটা খোলসা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত কিংবা অন্য কোনো অভিযানে ভুয়া চিকিৎসকরা ধরা পড়ে নিজেরা শাস্তির মুখোমুখি হলেও তাদেরকে যারা ধারণ ও লালন করে, তারা বড়ো ধরনের শাস্তির মুখোমুখি না হওয়ায় ভুয়া চিকিৎসক বা ভুয়া সনদধারী 'বিশেষজ্ঞ' চিকিৎসকের খপ্পর থেকে তথা অপচিকিৎসা/ভুল চিকিৎসার কবল থেকে হাজীগঞ্জের রোগীরা রেহাই পাচ্ছে না। উপর্যুপরি স্বাস্থ্য বিভাগের স্থানীয়/জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থপূর্ণ উদাসীনতা ও নিয়মিত তদারকির অভাবে যে হাজীগঞ্জ ভুয়া চিকিৎসকের অপবাদ থেকে রেহাই পাচ্ছে না, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা চাই, যে কোনোভাবে হোক, হাজীগঞ্জ এমন অপবাদ থেকে মুক্ত হোক। কেননা ঐতিহাসিক বড় মসজিদের কারণে ধন্য ও পবিত্র, বহুবিধ ব্যবসায় চাঁদপুর জেলায় অগ্রসরমান হাজীগঞ্জের নামটি এমন অপবাদে কলুষিত থাকতে পারে না দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়