প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:২৩
জেনারেল হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ড সামাল দেয়া প্রসঙ্গে

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চঁাদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওটির প্রবেশ রুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই ২০২৫) রাত ৮টার সময়। জানা যায়, ওটিতে প্রবেশ রুমের দরজার পাশে থাকা বৈদ্যুতিক বক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে গ্যাস মেরে সাথে সাথে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। এতে অল্পের জন্যে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের আয়া মিলি বলেন, আমি ওটি ও আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করি। ওটিতে প্রবেশ পথের দরজা বন্ধ করতে গেলে পোড়া গন্ধ পাই। বিষয়টি নার্স আছমা আপাকে জানালে আপা স্যারদেরকে ফোন করেন। এমন সময় এক পুলিশ সদস্য এসে গ্যাস মেরে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর শুনে হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ চলে আসেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসেন। তবে তাদের আসার আগেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ ব্যাপারে কর্মরত চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমেদ কাজল বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একজন পুলিশ সদস্য ও হাসপাতালে কর্মরত আনসার সদস্যরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। অল্পের জন্যে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হয়। হাসপাতালের প্রধান হিসাব সহকারী ফারুকুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিক তা নিভিয়ে ফেলা হয়।
|আরো খবর
এদিকে আগুনের দৃশ্য ও ধেঁায়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে রোগীরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অপারেশন থিয়েটারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। তখনও বড়ো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছিলো হাসপাতাল। এবারো তাৎক্ষণিক গ্যাস মেরে অল্পতেই আগুন নিভিয়ে ফেলায় বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয়েছে। কথা হলো, সবসময় কি এমন রেহাই পাওয়া সম্ভব? পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অনেকটাই সম্ভব, যদি পালাক্রমে হাসপাতালে চব্বিশ ঘণ্টা কর্মরতদের আগুন নেভানোর কৌশলগুলো ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ শিখিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়। যেহেতু পুলিশ ও আনসাররা সবসময় হাসপাতালের সকল স্থানে দ্রুত ছুটে পেঁৗছার সুযোগ থাকে না, সেহেতু হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগুন নেভানোর কৌশল রপ্ত করানোটা অতি আবশ্যক। আর বৈদ্যুতিক তার ও অন্যান্য সরঞ্জামের রুটিন চেকআপ হওয়া বাঞ্ছনীয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এড়াতে এই চেকআপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাসপাতাল সহ যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এড়ানো ও আগুন নেভানোর কৌশল রপ্ত করানো এবং সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসাটা উচিত বলে আমরা মনে করি।