সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ৯ বছরের খরা কাটাল বাংলাদেশ
  •   চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্ট স্টেশনে অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যু
  •   চাঁদপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নেপথ্যে--
  •   হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার দাপটে বিচার পাচ্ছে না ক্ষতিগ্রস্তরা

প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪০

বিষয়টি ছোট হলেও ভেবে দেখা দরকার

অনলাইন ডেস্ক
বিষয়টি ছোট হলেও ভেবে দেখা দরকার

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে যাওয়ার ট্রলারগুলো চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডের তিনপাশে নোঙ্গর বসিয়ে আটকে রাখা হয় ব্লকের স্বল্পতম ফাঁকা জায়গায়। এতে স্রোতের তীব্রতায় পানির ঢেউয়ে দুলতে থাকা ট্রলারের নোঙ্গরে ভীষণ টান পড়ে, যাতে ব্লকগুলোর মাঝে বিদ্যমান ফাঁকা জায়গা বড়ো হয়ে যাচ্ছে। এই ফাঁকা জায়গায় পানি প্রবেশ করে ব্লক দেবে যেতে পারে। এতে মোলহেড ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে। মোলহেডে এ রকম দৃশ্য অহরহ দেখতে পাওয়া যায়। তাই জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা প্রশাসক সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন ও পর্যবেক্ষক মহল।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘নোঙ্গরে মোলহেড ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে’ শিরোনামে সেলিম রেজা উপরোল্লিখিত বিষয়টি তুলে ধরেছেন। এটাকে তুচ্ছ, ম্লেচ্ছ কিংবা ছোট একটি বিষয় হিসেবে প্রায় সবাই ভাবাটা স্বাভাবিক। গুরুত্ব না দেয়ার কারণে ছোট এ বিষয়টি যে একসময় বড়ো বিষয়ে পরিণত হয়ে যেতে পারে সেটি চোখ বুঁজে দায়িত্বশীলদের ভাবা দরকার। যারা ভাবতে চান না, তাদেরকে একটু হান্সের বিখ্যাত গল্পটা জানা দরকার। এটি পুরোনো গল্প, তবে শিক্ষণীয়। আট বছরের ছোট্ট বালক হান্সের বাড়ি ছিলো হল্যান্ডের হার্লেমে। বাঁধের ধারে এটি একটি ছোট্ট শহর। এই বাঁধ ছিলো সাগর থেকে হান্সদের শহরকে রক্ষা করার বাঁধ। এ বাঁধের পাশ দিয়ে এক সন্ধ্যায় হান্স তার বন্ধুর বাড়ি থেকে নিজ বাসায় ফিরছিলো। নির্জন পরিবেশে সে শুনতে পেলো পানি পড়ার শব্দ। এগিয়ে গিয়ে দেখতে পেলো যে, বাঁধের দেয়ালের গায়ে একটি ছোট্ট ছিদ্র হয়েছে। সেটি দিয়ে সাগরের পানি বেরিয়ে পড়ছে। হান্স ভাবলো, এই ছিদ্রই বড়ো হবে ক্রমশ, বাড়বে পানি বেরিয়ে আসার মাত্রা। যে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে তাদের শহর। এমনটি ভেবে সে তার একটি আঙ্গুল সেই ছিদ্রে ঢুকিয়ে দিলো। ব্যস কাজ হয়ে গেলো। পানি বেরুনো বন্ধ হয়ে গেলো। অন্য কোনোভাবে ছিদ্রটি বন্ধ করার উপায় খুঁজে না পেয়ে হান্স ওই ছিদ্রে আঙ্গুল ঢোকানো অবস্থায় সারারাত কাটিয়ে দিলো। এতে তলিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলো তার শহর। প্রশংসার বহরে ভাসলো হান্স।

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের সবচে’ দৃঢ় অংশ মোলহেড কোনোভাবে ন্যূনতম বিপন্ন হোক, সেটা সচেতন কেউ প্রত্যাশা করে না। সেজন্যে মোলহেডে বিদ্যমান বাঁধ ট্রলারের নোঙ্গর কিংবা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্লক দেবে যাক, মোলহেডের দৃঢ়তা ক্ষুণ্ন হোক-এটা ভাবা যায় না। কাজেই সময়ের এক ফোঁড়ে ছিদ্র সারার ব্যবস্থা নিতে হবে, অন্যথায় অসময়ের দশ ফোঁড়েও কাজ হয় কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়