শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

গত ৫ অক্টোবর ছিলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এ দিবসটি পালনে চাঁদপুরের শিক্ষক সংগঠনগুলোর মধ্যে কোনোটিরই জাঁকজমকপূর্ণ কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়নি। যদি কোনো সংগঠন সেভাবে পালন করেও থাকে সেটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসেনি। চাঁদপুর পৌরসভা বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে পৌরসভা পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে করেছে শিক্ষক সম্মেলন। ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর পৌর শহীদ জাবেদ হাই স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এ শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, জাতির পিতা শিক্ষা ও শিক্ষককে অনেক বড় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত ও অধিষ্ঠিত করেছিলেন। শিক্ষকদের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন। বর্তমানেও বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন শিক্ষকদের মুক্তির হাতিয়ার। তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেই বুঝতে পেরেছিলেন শিক্ষাই হলো মুক্তির হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন পর্যালোচনা করে আমরা দেখতে পাই, প্রকৃত শিক্ষাই পারে মানবমুক্তির পথের সন্ধান দিতে। তার লক্ষ্যই ছিলো শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার ধারণাটি প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করেছিলেন কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন। যেটা ছিলো একটি অসাম্প্রদায়িক বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থার রূপরেখা। চাঁদপুর পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকতা আবুল কালাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও পৌর শহীদ জাবেদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ওমর ফারুকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানসুর আহমেদসহ আরো অনেকে। সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।

যে কোনো চাকুরি থেকে যখন কেউ অবসরগ্রহণের কাছাকাছি সময়ে পৌঁছায়, তখন তার সহকর্মীরা সাধারণত তার প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মানের পরিমাণটা অনেক কমিয়ে দেয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায়, নো বডি স্যাল্যুট দ্যা সেটিং সান। আর অবসরগ্রহণ করলে তো শ্রদ্ধা-সম্মান করতেই চায় না। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে কোনো কোনো ছাত্র তো 'স্যার' না ডেকে ভাই বা আংকেল ডাকে। একইভাবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধঃস্তন কর্মচারীদের কেউ কেউ 'স্যার' ডেকে সাধারণ শিষ্টাচার প্রদর্শনের বিষয়টিও ভুলে যায়। এমন বাস্তবতায় চাঁদপুর পৌরসভার শিক্ষা বিভাগ গেল শিক্ষক দিবসে আহূত শিক্ষক সম্মেলনে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়াটা বদান্যতাই বটে। উপর্যুপরি সম্মাননা প্রদানটা শিক্ষকদের প্রতি অনেক বেশি সম্মান প্রদর্শনেরই সামিল। এজন্যে আমরা আয়োজকদের সম্মান জানাই।

চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ব শিক্ষক দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করেছে। তারা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সেমিনার ও কৃতী শিক্ষক সম্মাননার আয়োজন করেছে। ফরিদগঞ্জের আবিদুর রেজা পাইলট হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষার্থী কর্তৃক শিক্ষকদের পা ধুয়ে দেয়াসহ ব্যতিক্রম কর্মসূচি পালন করেছে। এজন্যে এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ শিক্ষক দিবস পালনে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি পালনকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই।

আমাদের সমাজে পেশাজীবীদের মধ্যে শিক্ষকদের সংখ্যা অন্য অনেক পেশাজীবীর চাইতে বেশি। শিক্ষকদের সংগঠনের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু বিশ্ব শিক্ষক দিবসে এই সংগঠনগুলোকে কাঙ্ক্ষিতভাবে সরব দেখা যায় না। এটা আমাদের ব্যথিত করে। এটা কেন সেটা আমাদের মাথায় ঢোকে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়