শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

ডাইভারশন রোডের দুর্ভোগ
অনলাইন ডেস্ক

কোনো সড়কে ছোট-বড় ব্রীজ পুনঃনির্মাণে যান ও জনচলাচলের সুবিধার্থে বিকল্প রাস্তা হিসেবে অস্থায়ী ডাইভারশন রোড নির্মাণ করতে হয় এক লেন বা দু লেন বিশিষ্ট রাস্তায়। কিন্তু এই রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে কোনো কোনো ঠিকাদার যা করেন, সেটি হয়ে যায় গণমাধ্যমের সংবাদের উপজীব্য। যেমনটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে হয়েছে।

‘কচুয়ায় ব্রীজের ডাইভারশন রোড যেন মরণ ফাঁদ’ শিরোনামের সংবাদে ফরহাদ চৌধুরী লিখেছেন, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া-নাহারা সড়কে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর পাশে নির্মিতব্য ব্রীজের ডাইভারশন রোডটি তৈরির পর থেকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় চাঁদপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্যামস ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন লিঃ প্রায় ১০ মাস পূর্বে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮শ’ টাকা ব্যয়ে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ব্রীজের কাজ করতে গিয়ে পাশে দায়সারা গোছের একটি ডাইভারশন রোড তৈরি করে। ডাইভারশন রোডটি মূল সড়ক থেকে বাঁকা, অনেক নিচু ও সরু করে ইট দিয়ে তৈরি করা হয়। ফল প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা। ডাইভারশন রোডটি বেশি ঢালু হওয়ায় যানবাহন টেনে উপরে তুলতে হয়। স্থানীয়রা জানান, এই স্থানে দুর্ঘটনায় পড়ে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে। একটুখানি বৃষ্টি হলে ডাইভারশন রোডটি যেন একটি মরণ ফাঁদে রূপ নেয়। তাছাড়া ঠিকাদার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করে ব্রীজের কাজ করছে বলে অভিযাগ রয়েছে।

কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আখতার হোসাইন জানান, ডাইভারশন রোডটি যান ও জনচলাচলের অনুপযোগী। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে বার বার বলার পরও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ও উপজেলা প্রকৌশলী আঃ আলিম লিটনকে অবহিত করলেও বিষয়টির ব্যাপারে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

ডাইভারশন রোড নিয়ে অনেক ঠিকাদার অকপটে বলেন, আমরা ব্রীজের কাজে তেমন লাভ করতে পারি না, তবে ডাইভারশন রোড থেকে ভালোই লাভ করতে পারি। বোধকরি সেজন্যে কিছু ঠিকাদার বেশি লাভের ধান্ধায় ডাইভারশন রোড করেন অসম্ভব নিম্নমানের, যাতে যান ও জনচলাচল হয় ঝুঁকিপূর্ণ। এতে তারা লাভও কামায়, রোডটিতে চলতে কষ্ট পাওয়া মানুষের অভিশাপও কামায়। উপরোল্লিখিত সংবাদে কচুয়ার যে ডাইভারশন রোডটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে ঠিকাদারের কোনো ধান্ধা নিহিত আছে কিনা, এমনটি আমরা সরাসরি বলতে পারছি না, যেহেতু সংবাদটি অনুসন্ধানী নয় কিংবা কারো তীক্ষè পর্যবেক্ষণ ও গবেষণামূলক কোনো কিছুর তথ্যনির্ভর নয়। কারণ যা-ই হোক, ডাইভারশন রোডটি স্বস্তিপূর্ণ চলাচল উপযোগী করতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে যাতে ঠিকাদারকে যথাযথ নির্দেশ দেয়া হয়, সে ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়