রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

খালকেন্দ্রিক স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে?
অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত সঙ্কীর্ণ সমুদ্র প্রণালী হচ্ছে মালাক্কা প্রণালী। ৫০০ মাইল দীর্ঘ এবং ১.৭ মাইল গড় প্রস্থ ও ৮২ ফুট গভীরতার এই প্রণালীর তীরেই অবস্থিত মালয়েশিয়ার মালাক্কা সিটি, যেটি পর্যটন নগরী হিসেবে বিখ্যাত। এই নগরীতে অনেক পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম হচ্ছে খাল। যে খাল নগরবাসীর জন্যে লাইফলাইন হিসেবে যেমন কাজ করে, তেমনি নৌকাযোগে ঘোরাঘুরিতেও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। খালের দুপাড়ে কোনো দখলদারিত্ব নেই। যে কারণে খালের পাড় বাঁধাই করে মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। যেখানে বসে মানুষ অবসরে সময় কাটায়। আমাদের চাঁদপুর শহরেও রয়েছে এমন একটি খাল। এই খালটির নাম এসবি ( শ্রীরামদী-বিষ্ণুদী) খাল। এটি শহরটির নূতনবাজার অংশের বাসিন্দাদের লাইফলাইন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সুদীর্ঘকাল। কিন্তু যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই খালটির টুটি চেপে ধরা হচ্ছে এটিকে মেরে ফেলার জন্যে।

‘এসবি খাল এখন নালায় পরিণত ॥ খনন করতে পৌরবাসীর দাবি’ শিরোনামে শনিবার প্রকাশিত চাঁদপুর কণ্ঠের সংবাদে বাদল মজুমদার লিখেছেন, চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকার মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত এসবি খাল খনন করার দাবি পৌরবাসীর। খালটি এই শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান উৎস। খালটি শহরের সৌন্দর্য যে বহন করে তা-ই নয়, পানি নিষ্কাশনে ভারসাম্য রক্ষা করে। এই খালটি দিয়ে একসময় ছোট ছোট নৌকা মেঘনা থেকে ডাকাতিয়া নদীতে পাড়ি দিতো। খালটির তখন গভীরতা ছিলো। বিভিন্ন প্রজাতির মাছও পাওয়া যেতো। পানি ছিলো স্বচ্ছ। ডাকাতিয়া নদীর পানি এই খাল দিয়ে মেঘনা নদীতে যেতো। আবার মেঘনা নদীর পানি ডাকাতিয়া নদীতে যেতো, সেই সাথে শহরের পানি নিষ্কাশন হতো। এখন খালটির একদিকে পলি জমে গভীরতা কমে গেছে, অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গা দখল হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌরবাসীর দাবি, খালটি দখলমুক্ত করে খনন করা হোক। যেভাবে শহরের সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে, সেইভাবে খাল দখলমুক্ত করা হোক। পৌরবাসী মনে করেন, খালটি দখলমুক্ত ও খনন করে খালের দুপাড় বাঁধিয়ে নান্দনিক চাঁদপুর শহর করা হোক। এতে করে শহরের মানুষগুলো খালের দুপাড়ে বসে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে।

২০১৫ সালের পর চাঁদপুরকে যখন ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ নামে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা করে সিঙ্গাপুরের আদলে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু হলো, তখন এসবি খাল নিয়ে রাজধানীর হাতিরঝিলের ন্যায় স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। দুপাড় দখলমুক্ত করার হুঙ্কার দেয়া হয়। কিন্তু প্রভাবশালীদের তদবিরের জোরে ওই হুঙ্কার উবে যায়। তারপর মাঝে মধ্যে স্বপ্নবাজদের তাগিদে হুঙ্কার পুনঃউচ্চারিত হলেও আবার থেমে যায়। ফলে এই খালকেন্দ্রিক স্বপ্ন যেনো স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। আমরা জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনকে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে খালটি খনন, দখলমুক্তকরণ ও দুপাড়ের সৌন্দর্য বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগ্রহণ এবং প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদরের এমপি, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের আশুদৃষ্টি ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়