প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:২২
চাঁদপুর সদর হাসপাতালে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য: তিন নারী দালালের কারাদণ্ড
হাসপাতালে দালালের জাল ফাঁস
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে ঔষধ সংগ্রহ করতে গিয়ে তিন নারী দালালকে আটক করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। দালাল চক্রের এই তিন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে আসছিল বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
আটককৃতদের পরিচয় :
১. রঘুনাথপুর এলাকার বাচ্চু গাজীর মেয়ে খাদিজা।
২. দোকানঘর এলাকার মোঃ ইউনুসের মেয়ে ইসরাত।
৩. মৈষদী এলাকার ইউনুসের মেয়ে নাছিমা।তারা রোগীদের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সংগ্রহ করে ঔষধ কাউন্টার থেকে ওষুধ নিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করত বলে অভিযোগ রয়েছে। গতকাল ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা তাদের হাতে-নাতে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সরকারি ঔষধ এবং ডাক্তারের সইযুক্ত প্রেসক্রিপশন উদ্ধার করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়:ঘটনার পরপরই চাঁদপুর সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আল এমরান খান পরিচালিত এই আদালতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খাদিজাকে ১ মাস, ইসরাতকে ১৫ দিন এবং নাছিমাকে ৩ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দালাল চক্রের কার্যক্রম:বহির্বিভাগের ঔষধ সংগ্রহ ও দালালি ছিল তাদের মূল কাজ। তারা রোগীদের সাথে প্রতারণা করে বিভিন্ন চিলিপ ও স্বাক্ষর জাল করে ঔষধ হাতিয়ে নিত। এই ঘটনা হাসপাতাল প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য:চাঁদপুর সদর হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, এই ধরনের কর্মকাণ্ড দুঃখজনক এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেজন্য সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বান:তারা এ ধরনের দালাল চক্রের শেকড় উপড়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন এবং হাসপাতালে রোগীদের সঠিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে, এবং দালাল চক্রের পেছনে আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ