শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ০১:১২

ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প

বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন

কবির হোসেন মিজি
বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন
ছবি: ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প

চাঁদপুর শহরের ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েক শতাধিক পরিবারের জীবন এখন বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্বিষহ।

দীর্ঘ ৯-১০ মাস ধরে শুধু ঘরের ভেতরের সীমিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও বাইরের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

খুঁটিতে জ্বলছে না কোনো বাতি। ফলে সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে থাকে, তৈরি হয় নিরাপত্তা ঝুঁকি ও নানা দুর্ভোগ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক বছর আগ পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটির বাতিগুলো স্বাভাবিকভাবে জ্বলতো। কিন্তু পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় ৮/৯ মাস পূর্বে বিদ্যুৎ অফিস থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে আর পুনরায় সংযোগ চালু হয়নি। ফলে রাতের অন্ধকারে রাস্তাঘাট ও আশেপাশের এলাকা অজানা আতঙ্ক আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহজাহান হাওলাদার, সোহেল বেপারী, হযরত আলী মাঝি, সোহেল মাঝি, পেয়ারা বেগম, ঝুমুর বেগম, মোহমেনা বেগম, রবিউল হাজীসহ একাধিক বাসিন্দা জানান, আমাদের ঘরে নিজস্ব বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বাইরের লাইট না থাকায় রাতে রাস্তায় চলাফেরা করা খুবই কষ্টকর। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্যে এটা বড়ো ঝুঁকি।

এর পাশাপাশি প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশুদ্ধ সাপ্লাইর পানির কোনো ব্যবস্থা হয়নি।

কয়েক মাস আগে পৌরসভা থেকে পানি সরবরাহের লাইন টেনে রাখলেও সেই লাইনে আজও পানি আসেনি।

ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে পাশের ডাকাতিয়া নদীর পানি অথবা চাপকলের পানি এনে ব্যবহার করছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, বছরের পর বছর কেবল আশ্বাসই শুনছি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। বিদ্যুৎ অফিস ও পৌরসভার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে দুর্ভোগ আমাদের মতো সাধারণ মানুষকেই পোহাতে হচ্ছে।

আমরা অনেক অবহেলিত। আমরা নিয়মিত পৌরসভায় ট্যাক্স পরিশোধ করলেও সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

তারা দ্রুত আশ্রয়ণ প্রকল্পের রাস্তা ও ভেতরের গলিপথ গুলোতে পুনরায় আলোর ব্যবস্থা করা ও বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন, যাতে অন্তত ন্যূনতম মানবিক জীবনযাপন নিশ্চিত হয়।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়