প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ২২:০৪
জন্মাষ্টমী উদযাপনে জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপনের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভা শুক্রবার (২৫ জুলাই ২০২৫) বিকেলে শ্রীশ্রী গোপাল জিউড় আখড়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়।
|আরো খবর
তিনি বলেন, আমরা সকলে মিলেমিশে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানমালা পালন করবো। প্রশাসনের বেঁধে দেয়া সময় মেনে শোভযাত্রা শেষ করা যায় না। এ বিষয়টি এ বছর যেনো বিগত বছরের ন্যায় না হয় সেদিকে সকলের দৃষ্টি রাখতে হবে। বিশেষ করে আজান ও নামাজের সময় যেনো কোনো প্রকার সাউন্ড সিস্টেম না বাজে। আমরা সকলে দৃষ্টি রাখলে শোভাযাত্রাসহ সকল অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমি মনে করি। কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়া আমরা পূজা অর্চনা করবো দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে। আমরা যেনো কোনো ধর্মের প্রতি আঘাত না করি সেদিকে নজর রাখতে হবে।
চাঁদপুর জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সরকারের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ পণ্ডিত, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক গোপাল সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রঞ্জিত সাহা মুন্না, তমাল ভৌমিক, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, মহিলা সম্পাদিকা মাধুরী সাহা, জেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি রতন দাস, শ্রীশ্রী গোপাল জিউড় আখড়া মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি চিররঞ্জন রায়, সনাতনী ছাত্র সমাজের পক্ষে কানাই দে, পুরাণবাজার ঘোষপাড়ার পক্ষে বিপ্লব দাস কুট্টি, হরিসভার পক্ষে রাজন দে, পুরাণবাজার দাসপাড়া শিব মন্দির জন্মাষ্টমী কমিটির সভাপতি শাওন দাস, দাসপাড়া কালী মন্দির কমিটির পক্ষে পলাশ দাস রাম, পুরাণবাজার পালপাড়া জন্মাষ্টমী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর পাল, পুরাণবাজার হরিজন কলোনীর পক্ষে রনি দাস, কচুয়া উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মানিক ভৌমিক ও হাইমচর উপজেলার আহ্বায়ক অঞ্জন রায় চৌধুরী।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমরা সকলে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর সকল কর্ম পালন করবো। কোনোভাবেই প্রশাসনের দেয়া নির্দেশনা না মেনে আমরা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবো না। শোভাযাত্রার কারণে যেনো অন্য কোনো সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের পরিবারের সকলকে নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবো।