প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ০১:১৮
নবজাতকের মৃত্যু ও রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ডেলিভারি জটিলতায় স্বজনদের হট্টগোল

চাঁদপুর জেনারেল প্রাইভেট হাসপাতালে ডেলিভারি জটিলতার কারণে এক গর্ভবতী রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছে এবং নবজাতক সন্তান মারা যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনদের তীব্র অভিযোগ ও ক্ষোভে মুহূর্তেই সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় আশপাশের এলাকার উৎসুক জনতাও জড়ো হন। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
|আরো খবর
জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৭ মাসের গর্ভবতী) ৬ দিন আগে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
রোগীর ছোট ভাই পাপ্পু খান জানান, পাঁচ দিন আগে হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি সন্তান জন্ম নিলেও সেদিনই নবজাতকটি মারা যায়। এরপর রোগীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে অনভিজ্ঞ নার্স দিয়ে ডেলিভারি করায় রোগীর শারীরিক জটিলতা বাড়ে। ডেলিভারির পর থেকে রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বর্তমানে তাঁর জীবন ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বর্তমানে ফাতেমা আক্তার ঢাকার উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের লেকভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতেই স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জড়ো হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। একপর্যায়ে তুমুল হট্টগোল সৃষ্টি হয় এবং হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নবজাতকটি জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ ছিল এবং মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়। রোগীর শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোগীর স্বজনরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডিসিকে/এমজেডএইচ