শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

প্রবীণ নারীর প্রতিবন্ধকতা

হাসান আলী
প্রবীণ নারীর প্রতিবন্ধকতা

এমনিতেই আমাদের দেশে প্রবীণদের চলাচল সীমিত কারণ আর্থিক ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা। আমাদের সমাজ প্রবীণদের চলাচলকে নিরুৎসাহিত করে। আতঙ্ক, আশঙ্কা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা মনের গভীরে লালন করে; ফলে ব্যক্তি নিজেই সীমারেখা টেনে দেয়। পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কার্যত প্রবীণদের লকডাউনে রাখেন। বাস্তবে আমাদের দেশে প্রবীণদের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ বলে সবাই মনে করেন।

যে তিনটি কারণে প্রবীণ নারী বাইরে যেতে চান না, তা হলো: ১. হাঁটুর ব্যথা ২. মাথা ঘোরানো ৩. প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা।

প্রত্যেক প্রবীণ নারীর কমবেশি হাঁটুতে ব্যথা-বেদনা থাকে। শুরুতে ব্যথার জন্য ওষুধ খান। কিডনির সমস্যা হতে পারে; তাই অনেকে মুখে খাবার ওষুধের পরিবর্তে ব্যথানাশক ক্রিম ব্যবহার করেন। হাঁটুর ব্যথা তীব্রতর হলে কেউ কেউ ইনজেকশন নেন। এতে করে সাময়িক বেদনা লাঘব হলেও পরবর্তীতে কষ্ট ফিরে আসে। বর্তমানে সার্জারি করে নিট্র্যান্সপ্ল্যান্ট করা যায়। অনেকেই ভয় এবং অধিক ব্যয় হওয়ার কারণে আধুনিক এই চিকিৎসা নিতে আগ্রহী হন না।

সরকার বিনামূল্যে কিংবা ন্যায্য মূল্যে প্রবীণদের হাঁটুর অপারেশনের ব্যবস্থা করলে স্বাভাবিক জীবন যাপনের সুযোগ পেত।

প্রবীণ নারীর মাথা ঘোরানোর রোগ সাধারণত রক্তস্বল্পতা, উচ্চ রক্তচাপ, দুঃশ্চিন্তা, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, কানের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করা উচিত নয়। মাথা ঘোরাতে থাকলে কাজ থেকে বিরত থেকে শুয়ে পড়ুন। সাহায্যের জন্য কাউকে ডাকুন। সাহসী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। পানি খান, সুগারের মাত্রা কমানোর ওষুধ খাবেন না, সহজ শ্বাসপ্রশ্বাস বজায় রাখুন, চিকিৎসকের কাছে যান। সঠিক চিকিৎসা নিলে প্রবীণ নারী ভালো থাকবেন।

প্রবীণ নারী হাঁচি-কাশি দিলে, জোরে হাসলে, ভারী কিছু তুলতে গেলে কয়েক ফোঁটা প্রস্রাব বেরিয়ে আসে। প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা প্রবীণ নারীর একটি রোগ। প্রথম দিকে নারীরা লজ্জায় কাউকে বলতে চান না। তারা নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন এবং টয়লেটের কাছে থাকতে পছন্দ করেন। দূরে কোথাও যেতে আগ্রহী হন না এবং দুঃশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনায় ডুবে যান।

ওষুধ, ব্যায়াম এবং সার্জারি মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। ইউরো-গাইনোকলজিস্টরা সার্জারি ছাড়াও এই রোগ ভালো করতে পারেন।

প্রবীণ নারীদের সুস্থ রাখলে লাভ বেশি। সুস্থ মানুষ নিজের যত্ন নিজেই নিতে পারেন। ডাক্তার ও হাসপাতালে ছোটাছুটি কমবে। পরিবারের সদস্যরা চিন্তামুক্ত হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন এবং একটি কোয়ালিটি লাইফ উপভোগ করতে পারবেন।

লেখক : প্রবীণ বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সংগঠক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়