প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৯:২৩
হাইমচরে শীত আর ঘনকুয়াশার প্রভাব পড়েছে পান চাষে
পান চাষে বিখ্যাত হাইমচর উপজেলা এ উপজেলার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী পানচাষের মাধ্যমে আসে কিন্তু কিছুদিনের তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে হাইমচরে পানপাতায় পচন ধরেছে। হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ছে পান। তীব্র শীতের কারণে এরইমধ্যে পান বরজে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজারো পান চাষিরা।
চাঁদপুর হাইমচরে পানের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। হাইমচরের মাটিকে বলা হয়ে থাকে পান চাষের জন্য খাঁটি। পান চাষ লাভজন হওয়ায় এলাকার মানুষ পান চাষের আয়তন বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু সেই পান চাষিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। পৌষ আর মাঘের এই তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশা পান বরজকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। বরাজে লতার সাথে পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে ঝরে পড়ছে পানপাতা। বরজের উপরে ঘনো ছাউনি আর চার পাশে পলিথিন দিয়ে ঘিরে রেখেও পানপাতা রক্ষা করতে পারছে না চাষিরা। পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ার কারণে চাষিরা পানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
পান বরজ ক্ষতির মুখে পড়ায় চাষীরা হতাশায় ভুগছে। হাইমচর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের পান বরজে ঘুরে ক্ষতির একই চিত্র দেখা গেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে পান চাষিরা। আর পান চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে,হাইমচর উপজেলায় তিনশ’র বেশি চাষি পান চাষি রয়েছে।
পান চাষিরা জানান, সারা বছর জুড়ে বরাজে লতায় পান পাতা ধরতে থাকে। অধিক লাভের আশায় শীতের দুই মাস আগে থেকে বরজ থেকে তারা পান তোলেনা। কিন্তু এবছর শীত আর কুয়াশার কারণে বরাজে পানপাতা নষ্ট হচ্ছে। লাভ তো দুরের কথা খরজের টাকা উঠছে না।
পান ব্যবসায়ীরা জানান, পানের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারণে পাইকাররা পান ক্রয় করতে চায়না। একারণে বাধ্য হয়ে চাষীরা কম দামে পান বিক্রি করছে।
হাইমচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেলোয়ার হোসেন জানান, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে পান বরজে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের জন্য পান চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।