মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫৭

ইব্রাহিমপুর ঈদগাহ ফেরিঘাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব

বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ
ইব্রাহিমপুর ঈদগাহ ফেরিঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সুরুজ শেখের বসতবাড়ি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ঈদগাহ ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বে বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়েছেন। রোববার (৬ জুলাই ২০২৫) ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঈদগাহ বাজারে শেখ বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রুহুল আমিন শেখ, সুরুজ শেখ, কবির শেখ, কাদির শেখ, রাশেদা বেগম, খাদিজা বেগম ও নাজমা আক্তার।

স্থানীয় আব্দুল রশিদের পুত্র মমিন দিদারের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে বলে জানান আহত সুরুজ শেখ। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

সিরাজুল ইসলাম সুরুজ শেখ জানান, ২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহীমপুর মৌজার ঈদগাহ ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে যথারীতি ফেরি ও লঞ্চ চলাচল শুরু করে। কয়েক বছর পর পর একটি স্বার্থন্বেষী মহল গেল সরকারের শরীয়তপুরের এক মন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মূল ঘাট থেকে চলাচলের অনুপযোগী শাখা নদীর ভেতরে বেআইনিভাবে ঘাটটি শরীয়তপুরের নরসিংহপুরে নিয়ে যায়। বছরের প্রায় ৫ মাস সেই শাখা নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তখন ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সচল রাখতে নদী খনন করতে হয়। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে উল্লেখ করে আমি কয়েক মাস পূর্বে ‘আলুর বাজার ফেরি ও লঞ্চঘাট পূর্বের জায়গায় স্থানান্তর প্রসঙ্গে’ বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করি। সুরুজ শেখ জানান, কিছুদিন আগে ঈদগাহ ফেরিঘাটের নতুন ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে পূর্বে যারা ঘাটের ইজারাদার দায়িত্বে ছিলো তারা উল্লেখিত দুটি বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মমিন দিদারের নেতৃত্বে মুক্তার দিদার, বিল্লাল দিদার, হেলাল দিদার, আজমল দিদার, সিরাজ দেওয়ান, লিটন গাজীসহ অজ্ঞাত প্রায় ৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৬ জুলাই বিকেল তিনটায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বৃদ্ধ বাবা রুহুল আমিন শেখসহ পরিবারের নারী ও শিশুদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। হামলাকারীরা আমাদের বসতঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমরা যাতে আইনের আশ্রয় নিতে না পারি, এজন্যে আমাদের নানাভাবে ভয় ভীতি এবং চাপ প্রয়োগ করছে। অভিযুক্তরা সোমবার (৭ জুলাই) রাতে আমার ভাই তারা মিয়াকে গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে তারা উপায়ান্তর না পেয়ে আমার ভাইকে শরীয়তপুরের সখিপুর থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পরে সখিপুর থানা পুলিশ আমার ভাই তারা মিয়াকে চাঁদপুর সদর থানায় হস্তান্তর করে। তিনি ও তাঁর পরিবার প্রশাসনের কাছে ঘটনার সঠিক বিচার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়