প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ০০:০০
আমি তখন চাঁদপুরে থাকি। ২০১০ থেকে ২০১৬ এই দীর্ঘ ৭ বছর চাকুরির সুবাদে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে ছিলাম। দূরত্বের কারণে প্রথম প্রথম এলাকাটি ভালো না লাগলেও পরে অবশ্য ভালো লাগতে শুরু করে। আস্তে আস্তে মায়ার জালে আবদ্ধ হতে থাকি। চাঁদপুরের মাটি-জল-হাওয়ায় একাত্ম হয়ে মিশে যাই। কিছু কিছু মানুষ আপন হতে হতে পরিণত হয় একান্ত স্বজনে!
সবকিছুর মূলে ছিল আফরানা আঁখি। আমার ভালোবাসার দেবী, যে হৃদয়ের একান্ত জন। ওর কোমল হাতের ছোঁয়ায় আমি হয়ে যাই গ্রিক দেবতা প্রমিথিউস, আর ও আফ্রোদিতি। আমরা হাতে হাত রেখে অবাধে ঘুরেছি, জলে স্থলে ত্রিনদীর মিলনস্থলের নিবিড় ছায়ায়।
ছোটকাল থেকেই লেখালেখির অভ্যাস। ফরিদগঞ্জে পত্রিকার এজেন্ট তাজুল ইসলাম ভাইয়ের দোকান থেকে জাতীয় দৈনিক পড়তাম। একদিন দৃষ্টি পড়লো চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ‘পাঠক ফোরামে’র পাতায়। পাতাটি ভালো লাগলো। ওই দিনই ডাকযোগে একটি কবিতা পাঠিয়ে দিলাম। পরের সপ্তাহেই তা ছাপা হয়ে গেলো। তারপর থেকে আমার লেখা নিয়মিত ছাপা হতে থাকলো। চাঁদপুর কণ্ঠ হয়ে গেলো আমার প্রিয় পত্রিকা।
এখন আমি যদিও চাঁদপুরে নেই, কিন্তু মন পড়ে থাকে চাঁদপুরের অলিতে-গলিতে। মোবাইল দিয়ে প্রায়ই চাঁদপুর কণ্ঠের অনলাইন সংস্করণ পড়ি। চাঁদপুর কণ্ঠকে ভুলতে পারি না। কোনোদিন তা সম্ভবও নয়। চাঁদপুর কণ্ঠ আমার হৃদয়ে রয়ে যাবে চিরদিন অমলিন।
আশরাফ চঞ্চল : উপজেলা ব্যবস্থাপক, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট।