সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০

মুহা. আবু বকর বিন ফারুক

চাঁদপুর কণ্ঠের অফিস তখন গুয়াখোলা রোডের মাথায়। সাইকেল নিয়ে প্রায়ই চাঁদপুর শহরে আসতাম। চাঁদপুর কণ্ঠ অফিসের সামনে এসে সাইনবোর্ড দেখতাম, খুব ভালো লাগতো। একদিন একটি কবিতা ছাপানোর জন্যে অফিসে গিয়েছিলাম। তখন সুযোগ হয়তো ছিল না। সে কবিতাই পরবর্তীতে ছাপানো হয়েছে।

চাঁদপুর গেলে রেলওয়ের কোর্ট স্টেশনে দোয়াগঞ্জল বুক স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকা পড়তাম। মাঝে মাঝে কিনেও নিতাম। আমাদের গ্রামে তথা ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা এলাকায় চাঁদপুর কণ্ঠ তেমন পাওয়া যেতো না। মসজিদে চাকরির সুবাদে ফরিদগঞ্জের আইলের রাস্তায় ডাঃ বাবু ভাইয়ের দোকানে গিয়ে বিকাল বেলা চাঁদপুর কণ্ঠ পড়তাম। তখন সম্ভবত ২০০৮/২০০৯ সাল ছিলো। একদিন 'মেঘ' নামক ছোট্ট একটি কবিতা লিখে হরিপুর পোস্ট অফিস থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের ‘শিশুকণ্ঠে’ পাঠিয়ে দিলাম। তখনও ‘শিশুকণ্ঠে’র বিভাগীয় সম্পাদক ছিলেন সোহাঈদ খান জিয়া ভাই। পরের সপ্তাহে ‘শিশুকণ্ঠে’ কবিতাটি দেখে দারুণ আনন্দে আত্মহারা হয়ে সবাইকে দেখাতে লাগলাম, চাঁদপুর কণ্ঠে আমার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। সেদিনের আনন্দ আজও মন থেকে মুছতে পারি না। ‘শিশুকণ্ঠে’ লেখা শুরু করে লিখতে থাকলাম চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম, ইসলামী কণ্ঠ, সাহিত্য পাতা ও শিক্ষাঙ্গন বিভাগে। তখন প্রতি সপ্তাহে নিজের লেখা না দেখলে মনটা খুবই খারাপ থাকতো। কখনও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, কখনও নিজে অফিসে গিয়ে লেখা পৌঁছিয়ে দিয়ে আসতাম। অবশ্য অফিস তখন রেডক্রিসেন্ট ভবনে ছিল।

লেখালেখির পাশাপাশি পত্রিকা পড়াও নেশা হয়ে গেলো। একদিন চাঁদপুর কণ্ঠ না দেখতে পারলে সেদিন মনটা খুবই খারাপ হয়ে যেতো। মাঝে মাঝে কয়েকদিন চাঁদপুর কণ্ঠ দেখতে না পারলে চাঁদপুর শহরে গিয়ে হলেও পত্রিকা সংগ্রহ করতাম। আমার লেখা সংখ্যার প্রতি ছিল আলাদা টান। যদিও সব লেখা সংগ্রহ করে রাখতে পারিনি।

চাঁদপুর কণ্ঠের পাশাপাশি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদের ছারছীনা দরবার শরীফের মাসিক ‘কুঁড়িমুকুল’ পত্রিকাও পড়া শুরু করলাম। আমার লেখা কবিতা, প্রবন্ধ কয়েকবার ‘কুঁড়িমুকুলে’ প্রকাশিত হয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠে হাতে খড়িতে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে সোনালী আসরে 'তাল কুড়ানো' শিরোনামে কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়া ইনকিলাবে ইসলামী জীবন পাতায় কয়েকবার লেখা প্রকাশ পেয়েছে।

চাঁদপুরজমিনে ও চাঁদপুর টাইমসে কিছুদিন লেখালেখি এবং সাংবাদিকতার হাতে খড়ি দিয়েছি। এ ছাড়া চাঁদপুর খবর, প্রবাহ, সংবাদ, আলোকিত চাঁদপুর সহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখার সুযোগ হয়েছে।

লেখালেখিতে চাঁদপুর কণ্ঠের সেলিম রেজা ভাই সব সময় আমাকে সাহস দিয়েছেন। মাঝে মাঝে এমন হয়, সেলিম ভাই লেখতে বললে আমি লেখতে পারি। লেখালেখির সুবাদে বিভাগীয় পাতার জন্যে চাঁদপুর কণ্ঠ বেশি প্রিয় হয়ে উঠে। তবে প্রতিদিন চাঁদপুর কণ্ঠ দেখার আগ্রহ তখন থেকে জন্ম হয়েছে, যখন চাঁদপুরের সংবাদের জন্যে অন্যান্য পত্রিকার চেয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের সংবাদ গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। চাঁদপুরে অনেক পত্রিকা দেখেছি, পুরো পত্রিকা তালাশ করলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ নজরে আসতো না। আর চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিটি নিউজ আমার মন কেড়ে নিয়েছে। তাইতো চাঁদপুরের অনেক পত্রিকার মাঝে আজও চাঁদপুর কণ্ঠ তালাশ করি।

মনে পড়ে সে সকল ভাইকে, যারা আমায় লেখালেখিতে পথ দেখিয়েছেন। তারা হলেন মোঃ আব্দুর রহমান গাজী, পাঠক ফোরামের মিজানুর রহমান রানা, শিশুকণ্ঠের সোহাঈদ খান জিয়া, সাহিত্যপাতার এএইচএম আহসান উল্লাহ ভাই, ইসলামী কণ্ঠ ও শিক্ষাঙ্গন বিভাগের সেলিম রেজা ভাই, চাঁদপুরজমিনের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও বর্তমানে ফোকাস মোহনার সম্পাদক মাসুদ আলম ভাই, রেনেসাঁর মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সহ অনেকে।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই চাঁদপুর কণ্ঠের প্রাণ প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত স্যারকে, যার হাত ধরে চাঁদপুর কণ্ঠ সফলতার শীর্ষে।

পরিশেষে বলবো, রাত জেগে কলম, খাতা হাতে নিয়ে লেখা তৈরি করার যে তৃপ্তি ছিল তা আর এখন পাই না। মোবাইল সব সুখ কেড়ে নিয়েছে। তবে সে সময়ে ক্রয় করা কিছু চিঠির খাম আজও সে সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়