প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভা
স্বল্প পরিসরে সম্মেলন করার প্রস্তুতি
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ব্যাপক উপস্থিতিতে পূজা উদ্যাপন পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
গতকাল ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর শহরস্থ শ্রীশ্রী কালীবাড়ি মন্দিরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সাধারণ সম্পাদক তমল কুমার ঘোষ। সভায় বিগত দুর্গোৎসব চলাকালীন প্রতিমা ভাংচুর, দেবালয়ে হামলা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ সৃষ্ট ঘটনাসমূহের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনও করোনাকালীন যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সকলের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
বক্তারা প্রতিমা ভাংচুরসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে হামলার সাথে যারা জড়িত, নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বিচার দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাসহ প্রতিটি উপজেলায় মডেল মন্দির স্থাপনেরও জোর দাবি জানান। তারা বর্তমান পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃত্বের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, সংগঠনের বিকল্প নেই। পূজা পরিষদ ও ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ সকল সময়ই চেষ্টা করেছেন আমাদের মাঝে ঐক্য স্থাপন করতে। কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে ঐক্য স্থাপন করতে পারিনি। এ ব্যর্থতা আমাদের নেতৃত্বের নয়, তা আমাদের সকলের। সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্য জেলা সম্মেলন করার প্রস্তাব করলে গণতান্ত্রিক প্রদ্ধতিতে স্বল্প পরিসরে তা সম্পন্ন করার প্রস্তাব করেন উপস্থিত সকলে। সেই অনুযায়ী নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক ও রনজিত সাহা মুন্নাকে সদস্য সচিব করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে সম্মেলনের স্থান ও নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সভায় জেলা পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দের মাঝে বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী পিপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, শংকর রাও নাগ, পরেশ মালাকার, বিমল চৌধুরী, সুশিল সাহা, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, বিবেক লাল মজুমদার, তমাল কুমার ভৌমিক, জয়রাম রায়, চন্দ্রনাথ ঘোষ, শ্যামল কুমার দাস, কিশোর ঘোষ, চন্দন সাহা, নিখিল চন্দ্র মজুমদার, ডাঃ ফণী ভূষণ মজুমদার তাফু, বিকাশ চন্দ্র সাহা, হিতেষ শর্মা, লিটন কুমার দাস, জুয়েল কান্তি নন্দু, সুকমল কর রামু প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন গোপাল চন্দ্র সাহা ও গীতা পাঠ করেন কল্পনা রাণী সরকার। সভা শেষে সকলকে মহাপ্রসাদে আপ্যায়িত করা হয়।