প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:২৪
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি: উত্তপ্ত ৯৬ ঘণ্টার আলোচনায় সমঝোতা সম্ভব
৯৬ ঘণ্টার উত্তাপে জন্ম নিল শান্তি ️
দোহায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন
|আরো খবর
সমঝোতার পটভূমি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কয়েক মাস ধরে থেমে থেমে চলা আলোচনা গত নভেম্বরে ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধবিরতির পর নতুন গতি পায়। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মিদের তালিকা সরবরাহে সম্মতি আসার পর আলোচনা আরও ফলপ্রসূ হয়।
মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বন্দি মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মতৈক্য গড়ে ওঠে।
উত্তেজনাপূর্ণ চূড়ান্ত আলোচনা:
৯৬ ঘণ্টার চূড়ান্ত আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান নেন ইসরায়েলি প্রতিনিধি দল এবং হামাসের প্রতিনিধিরা। এই পর্যায়ে জিম্মিদের মুক্তির ক্রম, বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের সংখ্যা এবং গাজায় মানবিক সহায়তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা অত্যন্ত স্নায়ুচাপপূর্ণ হয়ে ওঠে।ম্যাকগার্ক ও উইটকফের নেতৃত্বে দোহায় উপস্থিত মার্কিন দল এবং মিশর-কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনাকে চূড়ান্ত সমঝোতার দিকে এগিয়ে নেন। p>
একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আলোচনার শেষ দিকে নেতানিয়াহুকে রাজি করাতে উইটকফ সরাসরি ইসরায়েল সফর করেন এবং আলোচনায় ইসরায়েলের সম্মতি নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ও আলোচনা ত্বরান্বিত করা:চুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়,আলোচনার শেষ মুহূর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি বড় ভূমিকা পালন করে। ট্রাম্প বারবার সতর্ক করেন, ২০ জানুয়ারির অভিষেকের আগে হামাস জিম্মি বন্দিদের মুক্ত না করলে মধ্যপ্রাচ্যকে ‘কঠোর মূল্য’ দিতে হবে।
এই চাপের কারণে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা দ্রুত এগিয়ে যায় বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মানবিক সহায়তা ও চুক্তির ভবিষ্যৎ: চুক্তির মূল শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল—
১. বন্দি বিনিময়ের ক্রম ও সংখ্যা নির্ধারণ।
২. গাজার জন্য মানবিক সহায়তার পরিকল্পনা।
মার্কিন কর্মকর্তা আরও জানান, চুক্তি কার্যকরের জন্য রোববার থেকে প্রাথমিক পদক্ষেপ শুরু হতে পারে।মার্কিন নেতৃত্বে দোহায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ