প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তিতে হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে এলেন লালমনিরহাটের মামুন
হঠাৎ আকাশ থেকে হেলিকপ্টারের শব্দ। মাটিতে অবতরণ করতেই মাথায় লম্বা মুকুট, শরীরে শেরওয়ানি পরে বীরবেশে হেলিকপ্টার থেকে বের হলেন মোহাম্মদ আল-আমিন নামে এক ব্যক্তি।
পরে জানা গেলো, কনের পরিবারের ইচ্ছে পূরণ করতে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে শাহরাস্তিতে এসেছেন লালমনিরহাটের এই মামুন।
১৫ জুলাই সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বেংকাদা গ্রামের আল আমিন মামুন নামে ওই বর হেলিকপ্টারে উড়ে বিয়ে করতে এসে শাহরাস্তির শোরসাক মাদ্রাসা মাঠে নামেন। এ সময় উৎসুক কয়েকশত গ্রামবাসী ওই হেলিকপ্টার থেকে উঠানামা ও বর দেখতে সেখানে ভিড় করেন। উৎসুক এসব জনতা এবং তাদের ভিড় ঠেকাতে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে পাটগ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যবসায়ী আল আমিন মামুনের সঙ্গে শাহরাস্তি উপজেলার শোরসাক গ্রামের প্রবাসী আবুল খায়ের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতির বিয়ে ঠিক হয়। ১৫ জুলাই ভাড়া করা হেলিকপ্টারে করে আল আমিন মামুন তিনজন আত্মীয় নিয়ে মেয়ের বাড়ি শোরসাক ইসলামিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা মাঠে নামেন। তবে অন্য বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে আসেন। হেলিকপ্টারে করে লালমনিরহাট থেকে শাহরাস্তি পৌঁছাতে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা।
এ বিষয়ে কনের বাবা আবুল খায়ের বলেন, তার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রীতি এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি এলাকার কয়েকশ গণ্যমান্য ব্যক্তিকে এ বিয়েতে দাওয়াত করেছেন। বিয়ে শেষে বিকেলে হেলিকপ্টারে করে তার মেয়েকে লালমনিরহাট বেংকান্দা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন আল আমিন মামুন।
মেয়ের চাচা শাহরাস্তি সূচিপাড়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, আমার বড় ভাই আবুল খায়েরের মেয়েকে আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে ধুমধামের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। শাহরাস্তি শোরসাকে এই প্রথম হেলিকপ্টারে করে আমাদের মেয়েকে বধূ করে নিয়ে যায়। এতে আমাদের আনন্দ লাগছে।
হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে বর আল আমিন মামুন বলেন, তার জীবনে ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করবেন। অনেকটা শখ এবং কনের ইচ্ছা পূরণ ও তাকে খুশি করতে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে এসেছি। বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসি। এখানে এসে শত শত মানুষের অভ্যর্থনা পেয়ে আমার খুব আনন্দ লাগছে।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, দুপুরে হেলিকপ্টারে লালমনিরহাট থেকে শাহরাস্তির শোরসাক নুরানী ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে বিয়ে করতে আসেন এক ব্যবসায়ী। আমরা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সূত্র : বার্তা২৪.কম