প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
টিকটকে ভিডিও প্রকাশ করে চাঁদা দাবি ॥ প্রতিবাদ করায় প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর হামলা
টিকটকে ভিডিও প্রকাশ করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর বসতঘরে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় রেহানা বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে ঘটে। এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ ও তথ্য সূত্রে জানা যায়, গজারিয়া গ্রামের মোঃ রিপন (৩৫) একই গ্রামের প্রবাসী দুলালের স্ত্রী রেহানা বেগমের ছবি ব্যবহার করে টিকটকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে সে বিনিময়ে চাঁদা দাবি করে। এর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ এপ্রিল রাতে রিপন (৩৫) ও মোঃ লিটন (৪০)সহ কজন ওই প্রবাসীর স্ত্রী রেহানা বেগমের বসতঘরে প্রবেশ করে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় প্রবাসীর স্ত্রী রেহানা বেগম আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রেহানা বেগম বর্তমানে চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
আহত রেহানা বেগম বলেন, রিপন দীর্ঘদিন আমার ছবি ব্যবহার করে টিকটকে আপত্তিকর পোস্ট করে। তার এসব আপত্তিকর পোস্টের কারণে আমি আাত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের কাছে মুখ দেখানো লজ্জাকর হয়ে যায়। তার পোস্টগুলো ডিলেট করতে বললে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে আপত্তি করায় তারা ক’জন মিলে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে। আমার ১৫টি সেলাই লেগেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে অভিযুক্ত রিপন ও লিটনের মা আঁখি বেগম (৫৫) বলেন, রেহানার ভাই আমার ছেলে রিপনকে ভিসা দিয়ে বিদেশে নিয়েছে। রিপন বিদেশ থেকে ১ বছর পর দেশে চলে আসে। রেহানার ভাইকে ক্ষতিপূরণ দিতে বললে সে ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় আমার ছেলেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করেছে। লিটন ও রিপনকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল হোসেন বলেন, রেহানা কোনো কারণে দোষী হলে আইন অনুযায়ী তার বিচার করা যেত। তারা রেহানার ভিডিও করে টিকটকে প্রকাশ করে এবং তার উপর হামলা করে যে অন্যায় করেছে, এ ধরনের অন্যায়ের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত।
অভিযোগের তদন্তকারী ফরিদগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর বলেন, আমি উভয় পক্ষকে বসে বিষয়টি সমাধানের জন্যে বলেছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।