ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী হামলায় রক্তাক্ত জখম

চাঁদপুর সদরের হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবদুল ছাত্তার রাঢ়ীর ওপর হামলা হয়েছে। তাকে রক্তাক্ত জখম করে পৌনে ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে চাঁদপুর সদর মডেল থানায়।

১০ এপ্রিল বুধবার বিকেলে মধ্য গোবিন্দিয়ার রাস্তার সামনে এই ঘটনা ঘটে। থানায় লিখিত অভিযোগে স্থানীয় বিল্লাল ছৈয়াল (২৭), আলী আকবর ছৈয়াল (৪০), ইউসুফ ছৈয়াল (৩৫), রহমান ছৈয়াল (৫৮) ও জাহাঙ্গীর শেখ (৩৮)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘটনার পর চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন মোঃ আবদুল ছাত্তার রাঢ়ী। তাকে দেখতে গিয়ে তাঁর শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।

চিকিৎসাধীন আবদুল ছাত্তার রাঢ়ী বলেন, মাদক বেচা-বিক্রির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকায় আধিপত্য দেখাতেই আমার ওপর তারা এই ন্যাক্কারজনক অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার খুলির পিছনে অস্ত্র দিয়ে আঘাতে করলে রক্তাক্ত জখম হয়। যেখানে ৬টি সেলাই দিয়েছে চিকিৎসকরা। ওরা আমার চোখে ও নাকে মুখে ঘুষি মেরে নীলাফুলা জখম করে আমার পরিহিত পাঞ্জাবীর ডান পকেটে থাকা হরিণা ফেরিঘাটের টোল আদায়ের ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউসুফ ছৈয়াল বলেন, আমরা শুধু তাদের আক্রমণ প্রতিহত করেছি। বরং ছাত্তার রাঢ়ীর ছেলে মামুন ও সাদ্দাম মাদক সেবন করে এবং ব্যবসায় জড়িত। এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করায় ওনারা আমাদের বাড়ির নারী পুরুষের ওপর দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আর ওনাদের টাকা ছিনতাইয়ের কোনো প্রশ্নই উঠে না জানিয়ে তিনি সবার পক্ষে প্রতিপক্ষের সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এস আই সেলিম উল্লাহ বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে চেয়ারম্যানকে দেখে এসেছি। তার দেয়া অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে।