রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

হাজীগঞ্জে আহলে হাদিস ও আহলে সুন্নাত দ্বন্দ্ব ॥ মসজিদ ভাংচুরের অভিযোগ

হাজীগঞ্জ ব্যুরো ॥
হাজীগঞ্জে আহলে হাদিস ও আহলে সুন্নাত দ্বন্দ্ব ॥ মসজিদ ভাংচুরের অভিযোগ

হাজীগঞ্জে আহলে হাদিস ও আহলে সুন্নাতের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে মসজিদ ভাংচুর ও ইমামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের মাড়কি জাবালে নূর জামে মসজিদে গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন মসজিদের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন।

এর আগেও গত ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ও ১৯ মার্চ সোমবার রাতে মসজিদটি ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। তখন মসজিদটি ভাংচুরসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়।

উল্লেখিত দুটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মসজিদের সভাপতি। অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মেম্বার, মোঃ মাসুদ, মোঃ আঃ রহিম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ অনিক, মোঃ কোরবান আলী, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ সুলতান, আব্দুল মান্নান, মোঃ নাজির, মোঃ সুফিয়ান, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ সাহেদ ও ফেরদৌসী বেগমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়।

ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন জানান, আমরা আহলে হাদিস সমর্থিত। আর অভিযুক্তরা সুন্নি মতাদর্শের হওয়ায় তাদের সাথে আমাদের মিল না থাকায় বিভিন্ন সময়ে মসজিদ ও মসজিদের ভিতরের বিভিন্ন সরঞ্জাম তারা ভাংচুর করে আসছে। এতে মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করে।

তিনি আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে তারা। বিষয়টি আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) জানিয়েছি। এছাড়াও আগের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে তারা মসজিদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। যেটুকু বাকি রয়েছে, তাও শেষ করবে তারা। এমন আশঙ্কায় ভুগছি আমরা। তাই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

অপরদিকে স্থানীয় মুসল্লি ও গ্রামবাসী জানায়, জাবালে নূর জামে মসজিদ নামে মসজিদটি এখানে গড়ে তোলার পর ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে তাদের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। শত-সহস্র বছর যাবত আমরা যেভাবে ধর্মকর্ম পালন করে আসছি সেসব নাকি সব ভুল। তাই তারা নতুন করে সব নিয়ম কানুন চালু করে। মনে হচ্ছে যেনো এটা ইসলাম ধর্ম না নতুন কোনো ধর্ম। ওই মসজিদের ইমাম এবং আহলে হাদিসের অনুসারীদের দ্বারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বিতর্কিত এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে গ্রামবাসী রুখে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযোগের বিবাদী ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন মেম্বার বলেন, মসজিদ ভাংচুরের সাথে আমি জড়িত নই। তারা শুধু শুধু আমাকে হয়রানি করে আসছে।

বিষয়টি জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য রতনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ ও পরবর্তীতে ব্যাক না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ সংবাদকর্মীদের জানান, এ ঘটনা উভয় পক্ষকে নিয়ে সুরাহার (সমাধান) চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়