রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥
মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মহান মুক্তিযুদ্ধে চাঁদপুরের প্রথম চার শহিদ কালামণ্ডখালেক-সুশীল-শংকর। ১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বোমা প্রস্তুতির প্রাক্কালে বিস্ফোরিত হয়ে তাঁরা শহিদ হন। এদিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে শহীদদের ‘মুক্তিসৌধ’ স্মৃতিস্তম্ভে বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন শহীদ কালামণ্ডখালেক-সুশীল-শংকর স্মৃতি সংসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা স্মৃতি সংসদের সভাপতি অ্যাডঃ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন বাবরের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাসদ (মার্কসবাদী) চাঁদপুর জেলা সমন্বয়ক কমরেড আলমগীর হোসেন দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত কুমার সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আবুল বাসার, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড জাহাঙ্গীর হোসেন, শহিদ কালামণ্ডখালেক-সুশীল-শংকর স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ও মোঃ হেলাল উদ্দিন, উদীচীর সংগীত বিষয়ক সম্পাদক প্রশিকা সরকার।

বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের গর্ব প্রথম চার শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকর। চাঁদপুরকে শত্রুমুক্ত করতে এ চার শহিদের পদক্ষেপ ছিলো মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা। ৩ এপ্রিল তাঁরা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে বোমা বানাতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে তারা শহিদ হন। এ দিনটিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলের যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা উচিত। অথচ প্রশাসনের কোনো ভূমিকাই নেই। প্রশাসন যেনো নির্বিকার। শুধু তাই নয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরও কোনো রকম ভূমিকা নেই। যা আমাদের হতবাক করে। এভাবে চলতে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হতে থাকবে।

বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রাখতে শহিদ কালাম-খালেক-সুশীল-শংকরকে স্মরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সর্বৈব প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে একীভূত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়