প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করার মাধ্যমে চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এবং কলেজ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ রাসেল ‘দেয়ালিকা’ উন্মোচন করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান। তারপর কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাজিয়া সুলতানা রিয়া এবং গীতা থেকে পাঠ করেন একাদশ শ্রেণির প্রীতি কণা সরকার। কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফয়েজ আহমেদ প্রধানীয়ার সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল খয়ের খান এবং শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম চৌধুরী।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মাসুদুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভাষা শহিদরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের অবদানের জন্যই বাংলা ভাষা রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা পেয়েছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে ২১ ফেব্রেুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমেই ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পায়। মহান ২১ আমাদের প্রেরণার উৎস। ১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারি ২১-এর ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের তাৎপর্য বর্তমান প্রজন্মকে বুকে ধারণ ও লালন করতে হবে। তবেই শহিদদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে এবং তোমাদের মাধ্যমেই ২০৪১ সালে এদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানে কলেজের সকল শিক্ষক, কর্মচারী, বিএনসিসি, গার্ল ইন রোভার, রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও ভাষার গান পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অপরাজিতা দাস, তাহেরা আক্তার, ফাল্গুনী সূত্রধর, মাহিন বিনতে নিজাম, আছফিয়া তমা প্রমুখ কলেজ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।