প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:০৮
সংবাদ প্রকাশের পর
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকের পাশে ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি
![মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতার শিকার কৃষকের পাশে ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি](/assets/news_photos/2025/02/11/image-58851-1739286604bdjournal.jpg)
মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে সেচ পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে একটি সংবাদ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি অবগত হয়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষকের কাছে চলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি। তিনি মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে সেচ প্রকল্পের হানিরপাড় এলাকার জলাবদ্ধতা ও ছেংগারচর বাজার এলাকার নিষ্কাশন খাল বন্ধ থাকা স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহবুব আলম লাভলু, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মেহেদী হাসান, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান শিবলু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান সাগর, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আল আমিন ও ভুক্তভোগী কৃষক-কৃষণী।
পরিদর্শনকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি মনোযোগ সহকারে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের কথা শুনেন। এ সময় কৃষক-কৃষণী ইউএনওকে কাছে পেয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান।
ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি ঘটনাস্থলে থেকেই জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের দিকনির্দেশনা দেন এবং এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি জানার পর আমাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসছেন। তিনি কৃষকের সাথে কথা বলে সমস্যাগুলো জেনেছেন। তাৎক্ষণিক তিনি জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বোরো ধানের চারা পানি নিচে অল্প কয়েকদিন থাকলে চারা পঁচে যায়। জমি থেকে দ্রুত পানি সরে না গেলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, আমি জলাবদ্ধতা ও নিষ্কাশন খালগুলো বন্ধ স্থান পরিদর্শন করেছি। সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমি পাউবো কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য অংশীজনের সাথে কথা বলবো। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষি উৎপাদন যাতে কোনো অবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেদিকে আমাদের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
উল্লেখ্য, শিকিরচর থেকে হানিরপাড়-দশানী নিষ্কাশনকালে পানি ভরে নিচু জমিতে প্রবেশ করছে। এ খালটির পানি কালিপুর পাম্প হাউজের মাধ্যমে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এ খালটির ছেংগারচর বাজার এলাকায় ময়লা আবর্জনা ও দখলের কারণে বন্ধ হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। এর কারণে প্রতিবছর মারাত্মক জলাবদ্ধতার শিকার হন বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষেরা। বিশেষ করে হানিরপাড় এলাকার কৃষকরা বেশি ভুক্তভোগী।