প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![ধানুয়ায় রাতের আঁধারে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ](/assets/news_photos/2023/02/05/image-29261.jpeg)
বড় ভাই সপরিবারে আমেরিকা থাকেন। তাদের এক সন্তান ঢাকায় আইটি সেক্টরে কাজ করেন। ব্যস্ততার কারণে তিনিও বাড়িতে তেমন একটা আসতে পারেন না। এ সুযোগ নিয়ে ছোট ভাইয়েরা তাদের ইচ্ছেমতো জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। রাতের আঁধারে সেই বিক্রিত জমি হস্তান্তর করছেন। এমন অভিযোগে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, মোঃ মাসুদ ও মোসাঃ লিলি বেগম তারা কেউ বাড়িতে থাকেন না। সবাই আমেরিকা থাকেন। মোঃ মাসুদের ছোট দুই ভাই মোঃ আরিফ সহিদি ও মোঃ ফারুক সহিদির সাথে দীর্ঘদিন জমিজমার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে ছোট দুই ভাই এবং তার স্বজনরা মোঃ মাসুদের কেয়ারটেকারকে প্রায়সময় মারধরসহ বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার করে। এর প্রতিকার চেয়ে মোঃ মাসুদ এবং লিলি বেগমের কেয়ারটেকার মোঃ তাহের গত ৩১ জানুয়ারি রাতে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে মোঃ তাহের বাদী হয়ে মোঃ আরিফ সহিদি (৫৪), মোঃ ফারুক সহিদি (৫৭), উভয় পিতা মৃত আমিনুল হক, মোঃ মোনায়েম খান (৬২) (পিতা মৃত আলম খান)কে বিবাদী করা হয়।
অভিযোগ দাখিলের পরদিন গভীর রাতে মোঃ আরিফ সহিদি তার বড় ভাইয়ের নতুন মাছের ঘের-এর বাঁধ ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। বাঁধের উপর মেহগনি এবং আকাশমনি গাছের চারাও ছিলো বলে জানান মোঃ মাসুদের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুর রহমান শাওন।
এ বিষয়ে মোঃ মাসুদের বাড়ির কেয়ারটেকার বলেন, আমার মালিক মোঃ মাসুদ দেশের বাড়িতে না থাকায় আমাদেরকে অসহায় পেয়ে বিবাদীগণ তাদের সম্পত্তি সীমানা নির্ধারণ না করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে। আমি উক্ত সম্পত্তির দেখাশোনা করি। জমির বিষয়ে আমি বাধা-নিষেধ করলে তারা আমাকে হুমকি দেয় সম্পত্তিগত বিষয়ে কোনো কথা বললে জীবনে খুন করে সম্পত্তি ভোগ দখলের স্বাদ মিটিয়ে দিবো। আমি আমার মালিকের আদেশ মতে তাদের খরিদা সম্পত্তির উপর ওয়াল নির্মাণ করতে গেলে বিবাদীগণ আমাদেরকে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে বিবাদীগণ আমাদেরকে মারার জন্য দৌড়িয়ে আসে। মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। বিবাদীগণ আমাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলে যদি উক্ত বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করি বা কোনো মামলা করি তাহলে আমাদেরকে জীবন ও সম্পদের যে কোনো ক্ষতিসাধন করবে। বিবাদীগণের এমন হুমকি-ধমকির কারণে বর্তমানে শঙ্কার মধ্যে আছি। যে কোনো সময় বিবাদীগণ আমাদেরকে জীবন বা সম্পদের যে কোনো ক্ষতি করতে পারে।
সরজমিনে গিয়ে আরিফ এবং ফারুক কাউকেই না পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।