বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

নবান্ন আমাদের শেকড়ে নিয়ে যায়
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

একটি দিনের জন্যে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার শতবছরের ঐতিহ্যে। ধান কাটা, পিঠাণ্ডপায়েস, হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মগ্ন ছিলো ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের সদস্য ও স্থানীয়রা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও অনুষ্ঠিত হলো ফরিদগঞ্জ লেখক ফোরামের ‘নবান্ন উৎসব- ১৪২৯’। ১০ ডিসেম্বর শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান। ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ভাটিয়ালপুর এলাকায় কৃষকের মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নূরুল ইসলাম ফরহাদের সভাপতিত্বে নবান্ন উৎসবের আহ্বায়ক ও নির্বাহী কমিটির অর্থ সম্পাদক তারেকুর রহমান তারুর মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয় দুপুর থেকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সমাজসেবক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, কৃষি প্রধান এ দেশে আবহমানকাল ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে লোকজ উৎসব ‘নবান্ন’। অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের ঘরে তোলা হয় নতুন ধান, সেই আনন্দে নতুন ধানের তৈরি পিঠা ও অন্য লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই উৎসবটি উদযাপিত হয়ে আসছে। নবান্ন উৎসব আমাদেরকে শেকড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। নগরায়ণের কারণে আমরা সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত। ছোটদের গোল্লাছুট ও হা-ডু-ডু খেলা দেখে আমি আমার শৈশবে চলে গেছি। আহ্ কী মধুর সময় ছিলো ঐ দিনগুলো। খুব মিস করি। আমি হা-ডু-ডু খেলা হায়ারে খেলতে যেতাম। এই নয়াহাটেও আমাকে নিয়ে আসতো। খেলাটি খুব ভালো পারতাম আমি। লেখক ফোরামকে ধন্যবাদ আমাকে সুখ স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে। সংগঠনটি এ রকম আরো আয়োজন করুক, আমি তাদের সাথে আছি।’

ধান কাটার পর গ্রাম বাংলার হারানো খেলাগুলো একের পর এক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, চেয়ার বদল, সাতচাঁড়া। ‘আমার মাইজা ভাই সাইজা ভাই কই গেলা-রে’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন লিখক সরকার ও রূপা সরকার। গান এবং নৃত্যের পর উপস্থিত সবাইকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কুইজ প্রতিযোগিতা। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোস্তফা কামাল মুকুল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি কেএম নজরুল ইসলাম, ফাতেমা আক্তার শিল্পী, সাবেক সভাপতি মহসিন হাসান শুভ্র, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ সাহেদ, কবি পাভেল আল ইমরান, সমাজকর্মী রাবেয়া আক্তার, নবান্ন উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মেহেরাজ হাসান সৌরভ প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়