বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

মতলব উত্তরে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বিধবার বসতঘর
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তর উপজেলায় আগুনে এক অসহায় বিধবার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার উত্তর লুধুয়া গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।

শনিবার সকালে সরজমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় আগুন দেখতে পেয়ে ডাক-চিৎকার দেন বাড়ির লোকজন। ওই সময় পাশের বাড়িতে থাকা আরোজা বেগম আগুনের খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখতে পান আগুনে জ্বলছে তার বসতঘর। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও বাঁচাতে পারে নি বিধবা আরোজা বেগমের বসতঘরটি। ঘরে থাকা আসবাবপত্র, ধান, চাল, নগদ টাকা, কাগজপত্র, সনদপত্রসহ সবকিছু মুহূর্তেই ছাই হয়ে গেছে।

এ সংবাদ সংগ্রহের সময় আরোজা বেগম কান্নার কারণে কথা বলতে পারেন নি। তার ছেলে শরীফ বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। আমার একটি সাইকেল ছিলো কলেজে যাওয়ার, সেটিও পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘরে থাকা ৩টি খাট, ১টি ফ্রিজ, ১টি আলমিরা, ১টি কেবিনেট, ১টি ওয়ার্ডরোব, ১টি টিভি, ১টি মোবাইল ফোনসহ সবকিছু পুড়ে যায়। আমার পাসপোর্ট করার জন্য রাখা ১৭ হাজার ৫শ’ টাকা ও বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন উঠানো ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিলো। কিন্তু টাকাগুলো পাচ্ছি না। সব মিলিয়ে প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বর্তমানে পরিবারটির খোলা আকাশের নিচে বসবাস ছাড়া আর কোনো পথ খোলা নেই। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে এই পরিবারকে ঢেউটিন ও নগদ টাকা অনুদান দেয়া হবে।

জানা গেছে, আরোজা বেগমের স্বামী আল-আমিন প্রধান মৃত্যুবরণ করার পর তিন ছেলে নিয়ে তিনি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করে সংসার চালাতেন। এমনকি তিনি রাস্তায় মাটি কাটার কাজও করেছেন। তার বড় ছেলে আরিফ ছয় মাস আগে ঋণ করে প্রবাসে গিয়ে বর্তমানে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। মেঝো ছেলে শরীফ রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন এবং ছোট ছেলে কলেজে লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। এ অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তাদের থাকার আশ্রয় করে দেয়ার জন্যে অনুরোধ করেছেন সরকার ও সকল ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়