প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
![মোস্তাক চৌধুরী একজন ভালো মানুষই ছিলেন না তিনি একজন ভালো সংগঠকও ছিলেন](/assets/news_photos/2022/12/07/image-26917.jpg)
মিলাদ ও দোয়াসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার চাঁদপুরের শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ মোস্তাক হায়দার চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। মরহুমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বিকেলে কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১০-এর আয়োজনে নতুনবাজার ও পুরাণবাজার সেতু সংলগ্ন নিজস্ব কার্যালয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১০-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হান্নান মিয়াজীর সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক খেরুদিয়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় মরহুমের স্মৃতিচারণ করেন জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি সালেহউদ্দিন আহমেদ জিন্নাহ, চাঁদপুর পৌর কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী রফিক আহমেদ মিন্টু, রোটারিয়ান সাখাওয়াত হোসেন শাকিল, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১০-এর কর্মকর্তা মোঃ মুকবুল হোসেন মুকুল, আঃ রহমান মিয়াজী, আঃ ওয়াদুদ মিয়াজী, মাস্টার মনির হোসেন, আবু তাহের গাজী, মরহুমের ছেলে উইং কমান্ডার ওমর হায়দার চৌধুরী, সাবেক পৌর মহিলা কাউন্সিলর শাহনাজ আলমগীর, সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা খানম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মরহুম মোস্তাক হায়দার চৌধুরী একজন ভালো মানুষই ছিলেন না, তিনি একজন দক্ষ সংগঠকও ছিলেন। তাঁর ছিল প্রখর দূরদর্শিতা। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তিনি তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে চেষ্টা করতেন। তাঁর ভিতর একটি ঐশ্বরিক শক্তি ছিল, যার কারণে তিনি স্বল্প সময়ে মানুষকে আপন করে নিতে পারতেন। আজ তাঁর প্রয়োজনীতা আমরা ভীষণভাবে অনুভব করি। তিনি একধারে ছিলেন গর্বিত পিতা, অন্যধারে ছিলেন একজন সফল সংগঠক। তার তিন সন্তানই আজ ভালো পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের সমাজে অনেক জ্ঞানী, গুণী, সমাজসেবক রয়েছেন, যারা নিজের কর্ম দ্বারা সমাজে ব্যাপক পরিচিতি ও সম্মান অর্জন করছেন, অথচ সন্তানদেরকে সেভাবে মানুষ করতে বা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি। সেদিক দিয়েও মোস্তাক হায়দার চৌধুরী সফল। বক্তারা কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১০-এর উন্নয়ন, শিক্ষা বিস্তারে তাঁর অনবদ্য অবদানসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাঁর ব্যাপক অবদানের কথা তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় মরহুমের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে মোস্তাক হায়দার চৌধুরীর নামে একটি স্মৃতি সংসদ গড়ে তোলারও প্রস্তাবনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মরহুমের ছোট ভাই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহব্বত হায়দার চৌধুরী ও মাইনুল হায়দার চৌধুরী, ছেলে সাইফুদ্দিন হায়দার চৌধুরী, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বিপ্লব, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৮-এর সভাপতি নকিবুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বেপারী, চাঁদপুর পৌর কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১০-এর কর্মকর্তা মোঃ শওকত আহমেদ, মোঃ তারিকুল ইসলাম, বাহার হায়দার চৌধুরী, মোঃ নজরুল ইসলাম, মরিয়ম বেগম, রফিকুল ইসলাম সর্দার, বিল্লাল হোসেন মুন্সী, মনির হোসেন, মোঃ আবু তাহের তারা মিয়া, মিরাজ হোসেন মুন্সী প্রমুখ।
দোয়ানুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাফেজ জাহেদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় ব্যাপক মানুষের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
উল্লেখ্য, বহু গুণে গুণান্বিত মরহুম মোস্তাক হায়দার চৌধুরী ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় ৭৫ বছর বয়সে ঢাকাস্থ মিরপুর ডিওএইচএসে একমাত্র কন্যার বাসায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদে চাঁদপুরের সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরদিন দুই দফা জানাজা শেষে পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদীতে মরহুমের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। মোস্তাক হায়দার চৌধুরী ছিলেন একজন নিভৃতচারী সমাজসেবক। চাঁদপুরের অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক।