ইলিশের অভয়াশ্রম চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জাটকা নিধনে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময় মার্চ-এপ্রিল মাস। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও থেমে নেই জাটকা নিধন। এ যেনো চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি। নির্দিষ্ট এ সময়ে

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনার একশ’ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও চাঁদপুরের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় প্রশাসনের অভিযানকে অনুসরণ করে চলছে জাটকা নিধন। ব্যাপক তৎপরতার পরেও নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা নিধন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্স।

৬ এপ্রিল গভীর রাতে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটস্থ নৌ-পুলিশ চান্দ্রা ইউনিয়নের আখনেরহাট নদীরপাড় ঝোঁপ-জঙ্গল থেকে বিপুল পরিমাণ জাটকা পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে। প্লাস্টিকের ট্রে-তে এবং বস্তায় জাটকাগুলো রাখা ছিলো। নৌ-পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জাটকা রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, যে পরিমাণ জাটকা এ সময় নিধন করা হয়, এ মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পেলে দেশে মাছের অভাব হতো না।

মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের নদী তীরবর্তী সকল স্থান থেকেই অসংখ্য জেলে নদীতে নামছে এবং জাটকাসহ নদীর অন্যান্য মাছ চুরি করে ধরছে বলে জানা যায়। চলমান জাটকা রক্ষা অভিযানের বাকি যে ২২ দিন সময় রয়েছে, সে সময়ে নদীতে আভিযানিক তৎপরতা আরো জোরদার করা প্রয়োজন বলে অভিমত পর্যবেক্ষক মহলের। ছবিতে হরিণা নৌ-পুলিশের অভিযানে জব্দকৃত জাটকা। ছবি ও প্রতিবেদন : মিজানুর রহমান।