রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জে মিথ্যা মামলার শিকার প্রবাসী পরিবার
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক মামলাবাজ চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই মামলাবাজ চক্রটি সুযোগ বুঝে অসহায় ও সহজ-সরল লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করে বিশাল অংকের টাকা কামিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি মোঃ জুয়েল, পিতা আব্দুস সাত্তার নামের এক মামলাবাজ চক্রের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬নং রূপসা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মোঃ রাসেলের পরিবার। শুধু তাই নয়, মিথ্যা বানোয়াট মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও হয়েছে ঐ প্রবাসী পরিবারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগের আলোকে সাহেবগঞ্জে মামলার বাদী জুয়েলের বাড়িতে গেলে সে সাংবাদিকদের আসার কথা শুনে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে তার স্ত্রী শাহিনা বেগমের সাথে মামলার বিষয়ে কথা বলতে গেলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান। অন্যদিকে মামলার এজাহারে উল্লেখিত ১নং সাক্ষী রনির সাথে দেখা করতে গেলে তিনিও সংবাদকর্মীদের আসার কথা টের পেয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। বিষয়টি নিয়ে সাহেবগঞ্জ গ্রামের মহসিন, শামসুর রহমান, বাবুল খলিফা, হাজী শামসুল আলম, ফারুক আহমেদসহ আরো অনেকেই জানান, এই মামলাবাজ চক্রটি বিভিন্নজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। তারা জানান, প্রবাসী রাসেলের পিতা নেছার আহমেদ, রাসেলের স্ত্রী জুমা বেগম, বোন শাহিন আক্তার ও রাসেলের মা সলেমা বেগমের বিরুদ্ধে যে মামলা দেয়া হয়েছে তাা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। এছাড়া মামলায় উল্লেখিত ১নং সাক্ষী মোঃ রনি আহত হওয়ার যে কথা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। রনি কখনো হাসপাতলে ভর্তি হয়নি তাকে আমরা প্রতিনিয়ত বাড়িতেই দেখি। অন্যদিকে মামলায় উল্লেখিত প্রধান আসামী নেছার আহমেদ গং বাদী মোঃ জুয়েলের হুমকি-ধমকির কারণে বাড়িছাড়া এবং তার অসুস্থতাজনিত কারণে কথা বলতে না পারার কারণে তার ছেলে প্রবাসী রাসেলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোঃ জুয়েল মামলাবাজ চক্রের সদস্য এবং মামলায় উল্লেখিত প্রধান সাক্ষী মোঃ রনি এদের সাথে কখনই আমাদের কোনো রকম সমস্যা হয়নি। এটা সম্পূর্ণরূপে একটি মিথ্যা মামলা। আমাদের এলাকায় এই মামলাবাজ চক্রটি বিভিন্নজনের নামে কমপক্ষে ৩০টি মিথ্যা মামলা দিয়ে চাঁদা দাবি করছে। আমাদের কাছ থেকেও মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্যে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। আমরা কোনোভাবেই রাজি হই না বলে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আমার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের ঘরটি তালাবদ্ধ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নেছার আহমেদ মেম্বারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডে এ ধরনের কোনো মারামারি হয়েছে কিনা সেটা আমি জানি না এবং কেউ আমাকে বলেও না। কিন্তু একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি এবং অন্যের মারফতে জেনেছি মামলাটি সম্পূর্ণরূপেই হয়রানিমূলকভাবে করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়