প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর পৌরসভার মাসব্যাপী কার্যক্রম উদ্বোধন
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক একরামুল ছিদ্দিক বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে চাঁদপুর পৌরসভার মাসব্যাপী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম, যা নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া রাস্তা, ড্রেন, ডোবা-নালাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আশপাশের ঝোপ, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে। উড়ন্ত মশা নিধনের জন্যেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেখানে মশার উপদ্রব বেশি সেখানে মশার স্প্রে করা হচ্ছে।
তিনি পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক নয়, বরং আপনারা সচেতন হোন, অন্যকে সচেতন করুন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘আতঙ্ক নয় সচেতনতা, ডেঙ্গু নয় সুস্থতা’। এই শ্লোগানে সচেতনতা সৃষ্টি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও লার্ভা ধ্বংসের বিষয়ে মাসব্যাপী কার্যক্রমে উদ্বোধনী র্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
পৌরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে জনাব একরামুল ছিদ্দিক বলেন, আপনার চারপাশে এডিস মশার লার্ভা থাকতে পারে। আপনারা যদি আপনার চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখতে পারেন, তাহলে আমাদেরকে জানান, আমরা ব্যবস্থা নেবো। আপনারা যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলবেন না, নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলুন। তাহলে আমরা পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে সহজে ডাস্টবিন থেকে ময়লা তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারবো। কেউ যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, তাহলে আপনারা হাসপাতালে ভর্তি হন। কারো যদি চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে সহায়তা করবো। এজন্যে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার প্রয়োজন। আমরা চাই একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক পৌরসভা গড়ে তুলতে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর চাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুধীজন, স্কাউট ও বাদক দলের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রশিক্ষণ করে।
এতে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার, শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসি আক্তার, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সৈয়দ মশিউর রহমান, পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান খান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বেলায়েত হোসেন রাজুসহ অন্যরা অংশ নেন।
পৌরসভার পরিচ্ছন্ন শাখার পরিদর্শক মোঃ শাহজাহান খান জানান, আমাদের ফগার মেশিন ১২টি, স্প্রে লার্ভা মেশিন ১৫টি রয়েছে। প্রতিদিন মোট ৪০জন শ্রমিক বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন।