প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
মৌসুমের শুরুতে কাক্সিক্ষত ইলিশের দেখা না মিললেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে চাঁদপুর মৎস্য বন্দরে প্রচুর পরিমাণে রূপালি ইলিশের আমদানি হচ্ছে। গড়ে প্রতিদিন ৪-৫টি ইলিশ বোঝাই ফিশিং বোট চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে থাকছে। ইলিশের স্তূপের ভেতর বড় সাইজের অর্থাৎ এক কেজির উপরে দেড় থেকে দুই কেজি পরিমাণ ইলিশ দেখা যাচ্ছে। সোম ও মঙ্গলবার দুদিন ঘাটে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে ইলিশের আমদানি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কেজিতে এক থেকে দুইশ’ টাকা কমেছে বলে আড়ৎদাররা জানান। বড় সাইজের প্রতি মণ ইলিশ ৩০ থেকে ৫২ হাজার টাকা, এক কেজির নিচে প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৬ হাজার টাকায় আর ছোট আকারের ইলিশের মণ ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা।
যদিও ব্যবসায়ীদের চোখে এখনও গত বছরের এই সময়ের আমদানিকে ছুঁতে পারেনি বর্তমান ইলিশের আমদানি। তবে চাঁদপুর ঘাটে আসা এসব ইলিশের সিংহভাগ ইলিশ সাগর মোহনায় ধৃত বলে জানান ফিশিং বোটের জেলেরা। এগুলো হাতিয়া, সামরাজ, চরফ্যাশন, পাথরঘাটা এলাকার জেলেদের আহরিত ইলিশ। ভালো দাম পাবার আশায় ফিশিং বোট মালিক ও ইলিশ ব্যাপারীরা বিক্রির জন্য ইলিশ চাঁদপুর নিয়ে আসেন। তবে দক্ষিণাঞ্চলের এ মাছ পাবার জন্য স্থানীয় আড়॥দারদের বিপুল পরিমাণ অর্থ সেখানে দাদন দেয়া রয়েছে বলে জানা যায়।
আর এতে তুষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে যে মাছ আসছে এই ধারাবাহিকতা থাকলে কিছুটা লোকসান কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন তারা।
গত কদিনে সবচেয়ে বেশি ইলিশের আমদানি হয়েছে বাবুল হাজী, মালেক খন্দকার, গফুর জমাদার, সিরাজ চোকদার, রব চোকদার কুদ্দুছ খা, মেজবাহ মাল ও চেয়ারম্যানের আড়তে।
৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর মাছঘাটের আড়ৎগুলোতে রূপালি ইলিশের রমরমা অবস্থা দেখা যায়।