প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ও থিয়েটার ফোরামের যৌথ আয়োজনে মানববন্ধন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোকপ্রকাশ ও স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়ে চাঁদপুরে সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র ও থিয়েটার ফোরাম।
গতকাল ১আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বৈরী আবাহাওয়ার মধ্যেও চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও চাঁদপুর সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের সভাপতি তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও স্বরলিপি নাট্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এম আর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যে শিল্পকলার সামনের রাস্তায় এসে দাঁড়াইনি। আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীরা আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছি আমাদের অধিকার আদায় করতে। একাত্তরের প্রেতাত্মারা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির ওপর সেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি আঘাত হানার চেষ্টা করছে। কোটা আন্দোলন শিক্ষার্থীদের নৈতিক অধিকার। আমরা চাই মেধার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠুক। কিন্তু কোনো অরাজকতা বা সহিংসতার মধ্য দিয়ে কোনো দেশ গড়ে তোলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এজন্যে আপনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি শুরুতে মেনে নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে কারা অনুপ্রবেশ করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের সাধারণ মানুষদের হত্যা করেছে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন থিয়েটার ফোরামের সভাপতি শহিদ পাটোয়ারী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশীদ, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, সব্যসাচী লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য রূপালী চম্পক, বর্ণচোরা নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌধুরী, জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী সাধনা সরকার অনু, মুক্তা পীযূষ, রুমা সরকার, অনিমা সেন চৌধুরী, মজিবুর রহমান দুলাল, শিপ্রা মজুমদার, পরিমল দাস নুপুর, হাবিবুর রহমান, মিঠুন বিশ্বাস, গোবিন্দ মণ্ডল, একে আজাদ, কার্তিক সরকার, গোপাল সরকার, মনির হোসেন মান্না, মানিক পোদ্দার, উজ্জ্বল হোসাইনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের সদস্যরা।