বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৪

পিএসসিতে নাশকতার চেষ্টায় গ্রেপ্তার যুবক: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটনের আশঙ্কা

পিএসসিতে নাশকতার চক্রান্ত!

প্রতিবেদন : মো. জাকির হোসেন
পিএসসিতে নাশকতার চক্রান্ত!
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ভবনে অগ্নিকাণ্ডের মাধ্যমে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করার অভিযোগে মো. আল-আমিন (৩৯) নামের এক যুবককে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পিএসসির নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্কতায় সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়।

ঘটনার বিবরণ: পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আল-আমিন পিএসসি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড গ্যারেজে প্রবেশ করে প্লাস্টিকের কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা বৈদ্যুতিক তার কাটার চেষ্টা করছিল। পিএসসির নিরাপত্তাকর্মী আরিফুর রহমান বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে ধরে ফেলেন। চিৎকার শুনে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটে এসে তাকে আটক করেন। পরে তাকে শেরে বাংলা নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন: পিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আল-আমিনের উদ্দেশ্য ছিল নাশকতা। সচিবালয়ের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটানোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পিএসসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত পরীক্ষার্থীদের তথ্য ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত নথিপত্র ধ্বংস হলে বহু চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারত।

অন্য পরিকল্পনার আভাস:

কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই ঘটনা কোনো একক পরিকল্পনা নয়। আল-আমিনের সঙ্গে কোনো চক্র জড়িত থাকতে পারে। কারণ, পিএসসির মতো সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের চেষ্টা বড় নাশকতার ইঙ্গিত দেয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে বড় কোনো হামলা করার পরিকল্পনা থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

আইনগত ব্যবস্থা: ঘটনার পর পিএসসি শেরে বাংলা নগর থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৫৪ অনুযায়ী এজাহার দায়ের করে। পরে পুলিশ এটি মামলা আকারে গ্রহণ করে। মামলা নম্বর ৪, ধারা ৩৮০/৫১১ (চুরি ও চুরির প্রচেষ্টা), পেনাল কোড ১৮৫০। বর্তমানে আল-আমিন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

পিএসসির নির্দেশনা ও পদক্ষেপ:ঘটনার পর পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ভবনের প্রতিটি প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের তদন্ত:পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন তার পরিচয় দিলেও তার কর্মকাণ্ডের সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে অস্বীকৃতি জানায়। তার কাছ থেকে একটি প্লাস এবং অন্যান্য সন্দেহজনক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ তার অতীত ইতিহাস এবং সম্ভাব্য সংশ্লিষ্ট চক্র নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনার মাধ্যমে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন উঠেছে। পিএসসির মতো স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে আরও সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটনের আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়