প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫২
অগ্নিকাণ্ড যদি নাশকতামূলক হয়-

কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর পুড়ে গেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ ২০২৫) রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় গোহট উত্তর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া হাজী বাড়ির প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের বসতঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাড়ির লোকজন আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে একটি বসতঘরের ৬টি কক্ষে থাকা মালামালসহ ঘরটি পুড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, ওইদিন আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমরা ধারণা করছি, কেউ শত্রুতাবশত আগুন লাগিয়েছে। আগুনে আমাদের ঘরের টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র, দলিল ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমরা প্রশাসনের নিকট আর্থিক ক্ষতিতে সহযোগিতা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ঘটনায় মো. রিয়াজুল ইসলাম কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সংবাদটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশিত হয় শেষ পৃষ্ঠায়। সে সংবাদেও অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতামূলক দাবি করা হয়।
‘হাজীগঞ্জ বাজারের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা ॥ অভিযোগের তীর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তার দিকে’ শিরোনামের সংবাদটিতে কামরুজ্জামান টুটুল লিখেছেন বিস্তারিত। সংবাদটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে, শনিবার (২২ মার্চ ২০২৫ ) গভীর রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪টি দোকানঘর পুড়ে গেছে। এটিকে নাশকতা হিসেবে দেখছেন খোদ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় প্রায় ১০ হাজার পুরানো দলিল পুড়ে ছাই হয়েছে। হাজীগঞ্জ বাজারস্থ শহীদ আলী আজ্জম সড়কের পৌর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে মার্কেটের ১৪টিসহ পাশের একাধিক দোকান পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যবসায়ী ও দলিল লিখকরা এই অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলে দাবি করেন। কারণ হিসেবে দলিল লিখক আকতার হোসেন জানান, ৮/১০ দিন পূর্বে তাকে কথায় কথায় একজন লোক বলেছেন, সবাই যেন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নেয়। তখন বিষয়টির গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আর এখন ৮/১০ দিন পর তাদের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক ও রহস্যজনক। অপর দলিল লিখক মামুনুর রশিদ স্বপন ও কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাট দোকানের মাসুদ জানান, পৌরসভা থেকে তাদের দোকানঘরের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এরপর তারা জেলা প্রশাসকের কাছে গেছেন তা ফের বরাদ্দ আনতে। এ সময় জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং তাদেরকেই দোকানঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তরা আরো জানান, দোকান বরাদ্দের জন্যে জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকা চেয়েছেন। তারা এতো টাকা কোথা থেকে দেবেন বলে ওই কর্মকর্তাকে তখন জানান।
কচুয়া ও হাজীগঞ্জের দুটি পৃথক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাশকতার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিশীল অবস্থায় যদি এমন নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড আরো হতে থাকে, তাহলে জনমনে উদ্বেগের মাত্রা আরো বাড়বে। এজন্যে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে ব্যবহার করে নাশকতার দাবির সত্যতা আছে কিনা সেটা যাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করতে হবে। দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে, যাতে জনমনে উদ্বেগ দূর হয় কিংবা অগ্নিকাণ্ডে নাশকতা রোধে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া যায়।অগ্নিকাণ্ড যদি নাশকতামূলক হয়-কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডে এক মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর পুড়ে গেছে। শুক্রবার (২১ মার্চ ২০২৫) রাত আনুমানিক আড়াইটার সময় গোহট উত্তর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া হাজী বাড়ির প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের বসতঘরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাড়ির লোকজন আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীগণ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে একটি বসতঘরের ৬টি কক্ষে থাকা মালামালসহ ঘরটি পুড়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের ছেলে মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, ওইদিন আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমরা ধারণা করছি, কেউ শত্রুতাবশত আগুন লাগিয়েছে। আগুনে আমাদের ঘরের টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র, দলিল ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। আমরা প্রশাসনের নিকট আর্থিক ক্ষতিতে সহযোগিতা ও ঘটনার সাথে জড়িতদের তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। এ ঘটনায় মো. রিয়াজুল ইসলাম কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সংবাদটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ প্রকাশিত হয় শেষ পৃষ্ঠায়। সে সংবাদেও অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতামূলক দাবি করা হয়।
‘হাজীগঞ্জ বাজারের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলছেন ক্ষতিগ্রস্তরা ॥ অভিযোগের তীর জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তার দিকে’ শিরোনামের সংবাদটিতে কামরুজ্জামান টুটুল লিখেছেন বিস্তারিত। সংবাদটির সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে, শনিবার (২২ মার্চ ২০২৫ ) গভীর রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪টি দোকানঘর পুড়ে গেছে। এটিকে নাশকতা হিসেবে দেখছেন খোদ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনায় প্রায় ১০ হাজার পুরানো দলিল পুড়ে ছাই হয়েছে। হাজীগঞ্জ বাজারস্থ শহীদ আলী আজ্জম সড়কের পৌর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে মার্কেটের ১৪টিসহ পাশের একাধিক দোকান পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যবসায়ী ও দলিল লিখকরা এই অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতা বলে দাবি করেন। কারণ হিসেবে দলিল লিখক আকতার হোসেন জানান, ৮/১০ দিন পূর্বে তাকে কথায় কথায় একজন লোক বলেছেন, সবাই যেন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নেয়। তখন বিষয়টির গুরুত্ব দেয়া হয়নি। আর এখন ৮/১০ দিন পর তাদের সবকিছু আগুনে পুড়ে গেছে। বিষয়টি সন্দেহজনক ও রহস্যজনক। অপর দলিল লিখক মামুনুর রশিদ স্বপন ও কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাট দোকানের মাসুদ জানান, পৌরসভা থেকে তাদের দোকানঘরের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এরপর তারা জেলা প্রশাসকের কাছে গেছেন তা ফের বরাদ্দ আনতে। এ সময় জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং তাদেরকেই দোকানঘর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেন। ক্ষতিগ্রস্তরা আরো জানান, দোকান বরাদ্দের জন্যে জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকা চেয়েছেন। তারা এতো টাকা কোথা থেকে দেবেন বলে ওই কর্মকর্তাকে তখন জানান।
কচুয়া ও হাজীগঞ্জের দুটি পৃথক অগ্নিকাণ্ড নিয়ে নাশকতার অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিশীল অবস্থায় যদি এমন নাশকতামূলক অগ্নিকাণ্ড আরো হতে থাকে, তাহলে জনমনে উদ্বেগের মাত্রা আরো বাড়বে। এজন্যে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে ব্যবহার করে নাশকতার দাবির সত্যতা আছে কিনা সেটা যাছাই করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করতে হবে। দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে, যাতে জনমনে উদ্বেগ দূর হয় কিংবা অগ্নিকাণ্ডে নাশকতা রোধে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া যায়।