প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৮
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা
অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাওয়া সজীবের কথা

ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজ মাস্টার বাড়ির ছেলে প্রবাসী মোহাম্মদ সোহেল ঢালীর পুত্র ঢাকা উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সজীব হোসেন। বিমান দুর্ঘটনায় অল্পের জন্যে সেদিন বেঁচে যায় সে। সেদিনের ভয়ংকর স্মৃতির কথা জানায় সে। সে জানায়, ‘মাইলস্টোন স্কুলের মধ্যে যখন বিমানটি আছড়ে পড়লো, তখন আমরা স্কুলের মধ্যেই ছিলাম। স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১টার দিকে। আমি বাংলা ভার্সনে পড়ি। শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে আমি আমার বন্ধুর সাথে কথা বলা শেষে হোস্টেলের দিকে যাওয়ার জন্যে একটু এগুতেই অর্থাৎ একটি মোড় পেরোতেই আমার পেছনেই বিমানটি আছড়ে পড়ে। এ সময় আমিও এক রকম পড়ে যাই। তখন পায়েও ব্যথা পাই। ছোটাছুটির এক পর্যায়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের চাপে একপাশে পড়ে যাই। হোস্টেলের মামাও গেইটে তালা মেরে চলে যায়। আমি কী করবো ভাবার পর ব্যাগটি রেখে পেছনের গেইট দিয়ে বের হই। আমি সামনে আসতেই দেখলাম আগুন আর আগুন। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভাচ্ছে। মানুষের জন্যে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। এরপর অ্যাম্বুলেন্স আসছে, হেলিকপ্টার আসছে। এর দশ মিনিট পর আমি সামনে যেতে চাইলে সেনাবাহিনী যেতে দেয়নি। এরই মধ্যে সেনাবাহিনী কিছু লোকজনকে মারছে দেখছি। পরে আমি আমার সেকশনে যাওয়ার চেষ্টা করি, পারিনি। পরে আমার শিক্ষক এসে আমাদেরকে সেকশনে নিয়ে যায়। আমি দেখেছি অনেক ছাত্র/ছাত্রী আগুনে পুড়েছে, অনেকে দৌড়াদৌড়ি করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের স্কুলের অনেক বন্ধু প্রাণ হারিয়েছে, আগুনের অবস্থা দেখে তাই মনে হয়েছে।
এদিকে সজিবের বাবা প্রবাসী মোহাম্মদ সোহেল ঢালী জানান, টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার খবর জেনে আমার ওই স্কুলে পড়ুয়া সন্তানের জন্যে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। পরিচিতিজনরা যাতে আমার সন্তানের খোঁজ নিতে পারে সেজন্যে ফোন ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। আল্লাহর রহমতে আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেয়েছি, সে সুস্থ রয়েছে। তবে যেসব অভিভাবক তাদের সন্তান হারিয়েছেন, যারা আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছে তাদের জন্য বুকটা ফেটে যাচ্ছে।